কৃষকদের জমি জাল দলিল করে সেই জমির জাল দলিল বন্ধক দিয়ে মৎস্য হ্যাচারীর নামে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ‘দুই কোটি ৮৬ লাখ’ টাকা ঋণ উত্তোলনের প্রতিবাদে আজ খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন তেরখাদা উপজেলার কুমিরডাঙ্গা এলাকার কৃষকগণ।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এস, জুলফিকার। লিখিত ঊক্তব্যে তিনি বলেন, তেরখাদা উপজেলার চিহ্নিত জালিয়াত, কুমিরডাঙ্গার আমজাদ শেখ’র পুত্র শেখ মুরাদ ও একই এলাকার মোহাম্মদ মোল্যার পুত্র জলিয়াত হাসমত আলী মোল্যা উল্লিখিত এলাকার কৃষকদের বিলের জমি জাল দলিল করে খুলনা মহেশ্বর পাশা মেইন রোড’র আঃ সামাদ মোল্যার পুত্র ভূমিদস্যু সবুজ বিপস্নব কে কবলা দলিল করে দেয়।কৃষকরা তাদের জমির খাজনা দিতে গেলে জানতে পারে যে তাদের জমির খাজনা সবুজ বিপ্লবেরনামে পরিশোধ করা হয়েছে এবং তার নামে দাখিলা কাটা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিপ্লব উল্লিখিত এলাকায় নির্মিত তার ভৈরব হ্যাচারী এন্ড নার্সারীর বিপরীতে ঋণের জন্য কৃষকদের জমির জাল দলিল (যা তেরখাদা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বক্তব্যানুযায়ী মোট ১৬টি) বাংলাদেশ ব্যাঙ্কে (ঢাকা) বন্ধক রাখে এবং ভৈরব হ্যাচারীর নামে দুই কোটি ৮৬ লাখ টাকা ঋণ নেয়, যার মধ্যে ব্যাংক তাকে ইতোমধ্যেই সরবরাহ করেছে এক কোটি ১২ লাখ ২৪ হাজার টাকা। উল্লেখ্য, ব্যাঙ্কের অফিসারগণ তদন্তে এলে সবুজ তাদের উৎকোচের মাধ্যমে বিদায় করেন বলেও তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, জালিয়াত চক্র এভাবে কৃষকদের প্রায় শতাধিক বিঘা জমি জাল দলিলের মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছে যার মধ্যে অনেকের বসত ভিটা এবং কুমিরডাঙ্গা প্রাইমারী স্কুলের জমিও আছে। তহশিল অফিস কৃষকদের জমি অন্যের নামে দাখিলা কেটে খাজনা নিলেও এ জমি কিভাবে কৃষকগণ ফেরত পাবে সে বিষয়ে প্রশাসন কোন দিক নির্দেশনা দিচ্ছে না।
তিনি কৃষকদের জমি উদ্ধারে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগের হস্তক্ষেপেরজোর দাবি জানান এবং জালিয়াত চক্রের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিদাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকগণ সহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ