সুন্দরবনে তেল-দুর্ঘটনার পর বাদাবনের পরিবেশ-প্রতিবেশ যখন চরম বিপর্যয়ের মুখোমুখি তখন সরকারের উচ্চপদস্থ অফিসারগণ কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ না নিয়ে ধারাবাহিক সভা আর কমিটি গঠন করে যাচ্ছেন। অপরদিকে দুর্ঘটনার চারদিন পার হয়ে গেলেও দায়ী ট্যাংকারের মালিক বা কোনো কর্মকর্তা এখনও গ্রেপ্তার হন নি।
আজ বিকাল তিনটায় বারসিক, উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট (ক্লিন), গ্রামীণ জীবনযাত্রার স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের জন্য প্রচারাভিযান (সিএসআরএল), জনউদ্যোগ ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)’র যৌথ আয়োজনে খুলনা পিকচার প্যালেস মোড়ে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে একথা বলেন।
বক্তারা বলেন, একটি বালি বহনকারী কার্গো কীভাবে তেলের ট্যাংকারে পরিণত হলো কিংবা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরও কেন শেলা নদীতে বাণিজ্যিক নৌযান চলার অনুমতি দেয়া হলো সে প্রশ্নের উত্তর ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিবিধান করা জরুরি। কিন্তু তার চেয়েও জরুরি এখনই সুন্দরবনে পরিবেশগত দুর্যোগ ঘোষণা করা এবং যতো বেশি সম্ভব স্বেচ্ছাসেবক নিযুক্ত করে নদী থেকে তেল অপসারণ করা। বক্তারা তেল অপসারণের জন্য বেসামরিক প্রশাসনের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী নিয়োগের দাবি জানান। এছাড়া বক্তারা তেল অপসারণের কার্যক্রম সরাসরি তদারক করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট আহ্বান জানান।
মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য করেন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)’র চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, ক্লিন-এর প্রধান সঞ্চালক হাসান মেহেদী, জন উদ্যোগের খুলনা সমন্বয়কারী মহেন্দ্রনাথ সেন, পবা’র সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জ্বল, সুজন-এর অ্যাডভোকেট কুদরত-ই-খুদা, অধ্যাপক শেখ সাদী ভূঞা, মাসাস’র শামীমা সুলতানা শিলু, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার, বাংলাদেশ কৃষক লীগের শ্যামল সিংহ রায়, মহিউদ্দীন আহমেদ, সৈয়দ আলী হাকিম, আফজাল হোসেন রাজু, এসএম সোহরাব হোসেন, অ্যাডভোকেট মামুনর রশীদ, জগন্নাথ দত্ত, মাসুম বিল্লাহ, ক্বারী শরিফ মিজানুর রহমান, মাস্টার বদিয়ার রহমান, আজিজুর রহমান ছবি প্রমূখ।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ