নদী, জলাভুমি দখল ও দূষণ প্রতিরোধে কঠোর আইন , নৌপথকে সচল করতে নদীগুলোতে ড্রেজিং , সকল নদী ও জলাভূমি সি এস ম্যাপ অনুযায়ী খাসজমি হিসেবে অক্ষুন্ন , আর এস বা এস এ ম্যাপে খাসজমি ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসাবে দেখালে তা বাতিল , জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে নদী ও জলাভূমির সকল প্রকার লীজ প্রদান বন্ধ , গ্রামাঞ্চলে নদী দূষণ রোধের জন্য ফসলে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার ব্যবহার , প্রাকৃতিকভাবে কীট ধ্বংসকারী পাখীদের আবাস স্থল সংরক্ষন , মহানগরীর নদী ও জলাভমির দূষণ রোধ করার জন্য শিল্পবর্জ্য শোধনাগার নির্মাণ ও খুলনা-ঢাকা স্টীমার পুনরায় চালু করতে হবে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় জনউদ্যোগ,খুলনার আয়োজনে ভৈরব নদের উপর নৌকা র্যালী ও সমাবেশে নাগরিক নেতৃবৃন্দ এ সকল কথা বলেন।
বক্তারা আরও বলেন, দেশের বর্তমান পরিবেশ বিপর্যয়ের জন্য বিশ্বব্যাঙ্ক ও আমলাতন্ত্রই দায়ী। আশি’র দশকে উপকূল অঞ্চলে চিংড়ি চাষের পরামর্শ ও তার জন্য ঋণ সরবরাহ করে বিশ্বব্যাঙ্ক, আর এ উদ্দেশ্যে নদী-খাল লিজ প্রদান শুরু করে জেলা প্রশাসন, যে নীতি পরবর্তিতে সারাদেশেই গ্রহণ করা হয়। নদী-খাল লিজ নিয়ে সেগুলি বাঁধ দিয়ে আটকে মাছের ঘেরে পরি নত করে লিজ গ্রহণকারীরা, যা কখনও জেলাপ্রশাসন দেখভাল করে নি, বরং অবৈধ সুযোগ গ্রহণ করেছে। আর এ ভাবে প্রায় তিন দশকের ব্যাবধানে আজ সারা দেশের নদী-খাল শুকিয়ে মৃতপ্রায়। এখন জিগির তোলা হচ্ছে ‘জলবায়ু পরিবর্তন’র ফলে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটেছে! এ ভাবে শুধু দোষিদেরই আড়াল করা হচ্ছে না, বরং নদী-খাল খননের জন্য আবারও বিশ্বব্যাঙ্কের ঋণের খাত উন্মুক্ত করা হচ্ছে। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের পরিবেশের আজকের এই বিপন্নতা পরিকল্পিত, দেশের প্রকৃতি ধ্বংষের ষড়যন্ত্রকারী দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জনউদ্যোগের আহবায়ক এ্যাড: কুদরত-ই-খুদা। সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের সদস্য সচিব মহেন্দ্র নাথ সেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি বেগম ফেরদৌস আলী, আ’লীগনেতা শ্যামল সিংহ রায়, খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ-জামান,জেপি নেতা শরীফ শফিকুল হামিদ চন্দন,আয়কর আইনজীবীর ফেডারেশনের সভাপতি এসএম শাহনেওয়াজ, ওয়ার্কার্স পার্টিও দেলোয়ার হোসেন দিলু, মফিদুল ইসলাম, ন্যাপ নেতা তপন রায়, সাংস্কৃতিক কর্মী শাহিন জামান পণ, পোল্ট্রি ফিস ফিড শিল্প মালিক সমিতির মহাসচিব এস এম সোহরাব হোসেন, মহিউদ্দিন আহম্মেদ, সিপিবিনেতা রুস্তম আলী হাওলাদার, এ্যাড: বাবুল হাওলাদার, ডা: নাসির, সেলিম বুলবুল, বিধান চন্দ্র রায়, ডা: এস কে সাহা, এস এম দেলোয়ার হোসেন, রতন মিত্র, ইকবাল হোসেন বিপ্লব, মেহেদী হাসান, সুজনের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন রাজু, হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নাসির খাঁন প্রমুখ । সভায় বক্তারা বলেন, নদী না বাঁচলে দেশ বাঁচবে না। নদীকে বাঁচাতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। শেলা নদীতে যে তেল ডুবির ঘটনা ঘটেছে তার সঠিক তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ