ঐতিহ্য,শৃঙ্খলা আর সামর্থের সমন্বয়ের উজ্জল দৃষ্টান্ত আজকের খুলনা শিপইয়ার্ড। শিপইয়ার্ডে কন্টেইনার ভেসেল নির্মাণ জাতীয় অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে। আজ খুলনা শিপইয়ার্ড লিঃ-এ বিআইডব্লিউটিসি’র দু’টি কন্টেইনার ভেসেল নির্মানের কীল লেইং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১৯৫৭ সালে নির্মিত খুলনা শিপইয়ার্ড স্বৈরাচারী শাসকদের দৌরাত্মে ১৯৯০’র দশকের শেষ দিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছায়। এক পর্যায়ে এ প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে দেওয়ার ষড়যন্ত্রও শুরু হয়, কিন্তু শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৯ সালে খুলনা শিপইয়ার্ড পরিচালনার দায়িত্ব বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর হাতে অর্পণ করেন, ফলে প্রাণ ফিরে পেয়েছে শিপইয়ার্ড।
তিনি বলেন, শিপইয়ার্ড দেশের মাটিতে সর্বপ্রথম যুদ্ধজাহাজ নির্মাণ করে তার সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। কন্টেইনার ভেসেল নির্মাণের মাধ্যমে খুলনা শিপইয়ার্ড তাদের দক্ষতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। খুলনা শিপইয়ার্ড নতুন নতুন জাহাজ ও কন্টেইনার ভেসেল নির্মাণের মাধ্যমে বৈদেশীক মুদ্রা সাশ্রয়ের পাশাপাশি জলযান শিল্পে স্বাবলম্বী দেশ গড়ে তুলতে অগ্রণি ভূমিকা পালন করছে। তিনি শিপইয়ার্ডের সকল উন্নতির জন্য শ্রমিকদে বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানান।
তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে শিপইয়ার্ড একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ভবিষ্যতে দেশের চাহিদা পুরণের পাশাপাশি জাহাজ রপ্তানীতেও খুলনা শিপইয়ার্ড অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, মংলা বন্দরকেও ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো এবং একটি লোকসানী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছিলো। ২০০৮ সাল নাগাদ মংলা বন্দরের লোকসান ছিলো ১১ কোটি টাকা। শেখ হাসিনার সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতা প্রহণের পর সকল লোকসান কাটিয়ে গত অর্থবছরে মংলা বন্দর লাভ করেছে ৪৭ কোটি টাকা, যা এ সরকারের যোগ্যতা ও উন্নয়নের রাজনীতির ফসল।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান, খুলনা সিটি মেয়র মোঃ মনিরুজ্জামান মনি, সহকারী নৌ-বাহিনী প্রধান, রিয়ার এ্যাডমিরাল আর ইউ আহমেদ, সহকারী নৌ-বাহিনী প্রধান, রিয়ার এ্যাডমিরাল কে এস হোসেন, চেয়ারম্যান, বিআইডব্লিউটিসি, মোঃ মিজানুর রহমান ও খুলনা শিপইয়ার্ড’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক, কমোডর এস ইরশাদ আহমেদ।
উল্লেখ্য, উল্লিখিত কন্টেইনার ভেসেল দু’টি নির্মাণে ব্যয় হবে মোট ৭৫ কোটি টাকা। এর প্রতিটি ভেসেলের দৈর্ঘ হবে ৭৬ মিটার, প্রস্থ ১৫ মিটার, গভীরতা ৭ মিটার, ড্রাফট ৪ মিটার, গতি ১০ নটিক্যাল মাইল এবং ধারণ ক্ষমতা (১৫৪টি কন্টেইনার) ১৫৮ টিইইউ।
![Share on Facebook facebook](http://www.sundarbansamachar.com/wp-content/plugins/social-media-feather/synved-social/image/social/regular/96x96/facebook.png)
![Share on Twitter twitter](http://www.sundarbansamachar.com/wp-content/plugins/social-media-feather/synved-social/image/social/regular/96x96/twitter.png)
![Share on Google+ google_plus](http://www.sundarbansamachar.com/wp-content/plugins/social-media-feather/synved-social/image/social/regular/96x96/google_plus.png)
![Share on Reddit reddit](http://www.sundarbansamachar.com/wp-content/plugins/social-media-feather/synved-social/image/social/regular/96x96/reddit.png)
![Pin it with Pinterest pinterest](http://www.sundarbansamachar.com/wp-content/plugins/social-media-feather/synved-social/image/social/regular/96x96/pinterest.png)
![Share on Linkedin linkedin](http://www.sundarbansamachar.com/wp-content/plugins/social-media-feather/synved-social/image/social/regular/96x96/linkedin.png)
![Share by email mail](http://www.sundarbansamachar.com/wp-content/plugins/social-media-feather/synved-social/image/social/regular/96x96/mail.png)
![feather](http://www.sundarbansamachar.com/wp-content/plugins/social-media-feather/synved-social/image/icon.png)
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ