খুলনা মহানগরীর লবনচরার পুটিমারীতে তিন ফসলি কৃষি জমিতে খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) প্রস্তাবিত স্যানিটারী ল্যান্ডফিল প্রকল্পের প্রতিবাদে জমির মালিক, বর্গা কৃষক ও এলাকাবাসির উদ্যোগে আজ সকালে উল্লিখিত প্রকল্প এলাকায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদি জমির মালিকগণ জানান, উল্লিখিত এলাকায় ৭০ একর জমি প্রকল্পের জন্য কেসিসি চিহ্নিত করে তা পতিত জমি বলে উল্লেখ করা হয়েছে যা সম্পূর্ণ অসত্য। জেলা প্রশাসন জমি অধিগ্রহণের জন্য জমির মালিকদের নটিশ প্রদান করলে জমির মালিকগণ জমি অধিগ্রহণের জন্য কোন অর্থই গ্রহণ করে নি, বরং নিজেদের জমিতে ফসল উৎপাদন করছে এবং ফসলি জমি ধ্বংসের প্রতিবাদে জমির মালিকগণ উচ্চ আদালতে রিট করলে বিজ্ঞ আদালত জমি অধিগ্রহণের উপর নিশেধাজ্ঞা জারি করেন।
উল্লেখ্য, আদালতের নিশেধাজ্ঞার সার্টিফাই কপি সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ অবগত থাকা সত্বেও প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকায় স্থাপনা নির্মানের চেষ্টা চালাচ্ছে এবং গত ২০ আগষ্ট কেসিসি কর্তৃপক্ষ দাতা সংস্থার সদস্যদের নিয়ে উল্লিখিত জমি পরিদর্শন করে এবং জমিতে প্রকল্পের সাইনবোর্ড লাগানোর চেষ্টা করে, যা আদালতের নিশেধাজ্ঞা অমান্য করার সামিল। এ অবস্থায় জমির মালিক, বর্গাচাষি ও এলাকাবাসির প্রতিরোধে সাইনবোর্ড নিয়ে কেসিসি কর্তৃপক্ষ চলে যায়। যে জমি এখনও অধিগ্রহণ হয় নি এবং যা আদালতের নির্দেশ ছাড়া সম্ভব নয়, সেখানে কাজ করতে যাওয়া সিটি কর্পোরেশনের সম্পূর্ণ অনধিকার চর্চা বলে মনে করেন জমির মালিকগণ। প্রতিবাদ সভায় তারা এর তিব্র বিরোধিতা করেন।
বর্গাচাষিদের বক্তব্য, প্রায় দুই শতাধিক চাষি পরিবার পুরুষাণুক্রমে এই জমিতে ফসল উৎপাদনের কাজ করেন এবং তাঁদের জীবীকা এই জমির ফসলের উপর নির্ভরশীল। এই কৃষি জমি নষ্ট করলে তাদের জীবীকার ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাবে এবং দুই শতাধিক পরিবারের জীবন-জীবীকা অনিশ্চিৎ হয়ে পড়বে। এ অবস্থায় ফসলি জমি ধ্বংস না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের প্রতি জোর দাবি জানানো হয় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায়।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ