বিশ্বব্যাপী প্রকৃতি সুরক্ষায় সহযোগী ও তহবিলদাতা একক বৃহত্তম প্রতিষ্ঠানটি হলো world wide fund for nature (WWF)। ১৯৬১ সালের ২৬ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত সংগঠনটি একটি আন্তর্জাতিক বে-সরকারি প্রতিষ্ঠান। শুরু থেকে প্রতিষ্ঠানটি প্রকৃতিসুরক্ষা, গবেষণা এবং পরিবেশ উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। যার পূর্বতন নাম ছিল world wild life fund, আমেরিকা ও কানাডায় যা এই নামেই কাজ করে যাচ্ছে।
পরিবেশ ও প্রতিবেশ সুরক্ষায় এটি হচ্ছে সারাবিশ্বে একক বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান, যার সহযোগীর সংখ্যা প্রায় ৫০ লাখ। বিশ্বের ১০০টি দেশে প্রতিষ্ঠানটি প্রাকৃতিক পরিবেশ ও প্রতিবেশ সুরক্ষাকল্পে প্রায় ১৩০০ প্রকল্প পরিচালনা করছে। ২০১০ সাল থেকে সংগঠনটি তার মোট তহবিলের ৫৭% নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দিচ্ছে। এ ছাড়া, তহবিলের ১৭% বিভিন্ন সরকারি সংস্থার (যেমন: world bank, DFID, USAID) এবং ১১% বিভিন্ন বেসরকারি বাণিজ্যিক সংস্থার কাছ থেকে সংগ্রহ করছে।
সংগঠনটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ‘এই ধরিত্রীর প্রাকৃতিক পরিবেশের ক্ষয়-ক্ষতি রোধ করা এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের বসবাসের জন্য সম্পূর্ণ মানানসই একটি প্রাকৃতিক পরিবেশ সৃষ্টি করা।’ সাম্প্রতিক কালে সংগঠনটি জীববৈচিত্র্য রক্ষার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ নিয়ে কাজ করছে। এগুলো হলো সমুদ্র ও উপকূলবর্তী জীবন, বন এবং সুপেয় পানি। যা পরিবেশ সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এগুলো ছাড়াও সংগঠনটি আরও যে সব বিষয়ে কাজ করছে সেগুলি হলো বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির প্রাণীদের সুরক্ষা, দুষণমুক্ত পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ নির্ণয় ও এর প্রতিকার।
উইকিপিডিয়াঅবলম্বনে।
by
Pingback: সোহাগ গাজী