বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সেলিম তালুকদারকে (৫০) তাঁর স্ত্রীর দায়ের করা নারী নির্যাতন মামলায় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। বুধবার বিকালে কচুয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস কার্যালয় থেকে পুলিশ ওই অফিসারকে গ্রেপ্তার করে।
গত ১১ অক্টোবর ঢাকার হাজারীবাগ থানায় শিক্ষা অফিসার সেলিম তালুকদারের স্ত্রী জাহানারা বেগমের দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় তাঁকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। বিকালে পুলিশ আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠিয়েছে। তিনি পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার ঝাটরা গ্রামের মৃতঃ সইজুদ্দিন তালুকদারের ছেলে।
তিনি ঢাকার হাজারীবাগ এলাকার ৩০/৩ মনেশ্বর রোডের একটি বাড়িতে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বসবাস করতেন। বর্তমানে তিনি বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। মামলার তদন্ত অফিসার ঢাকার হাজারীবাগ থানার এসআই মোঃ শরীফুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, শিক্ষা অফিসার সেলিম তালুকদার সম্প্রতি যৌতুকের জন্য তার স্ত্রী জাহানারা বেগমকে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন শুরু করেন। বিষয়টি জাহানারা তার ভাইবোনদের জানালে তারা তাদের বোনের সংসারে শান্তির কথা চিন্তা করে সেলিমকে কিছু টাকা যৌতুক দিয়ে শান্ত করেন। এর কিছুদিন পর সে আবার যৌতুকের জন্য স্ত্রী জাহানারাকে শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন।
এ অবস্থায় তার স্ত্রী গত ১১ অক্টোবর ঢাকার হাজারীবাগ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ (ক) ধারায় সেলিমের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। সেই মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারী করা হয়। সেলিমের কর্মস্থল বাগেরহাটের কচুয়া থানায় মামলার ওয়ারেন্ট পাঠালে থানা পুলিশ বুধবার বিকালে ওই শিক্ষা অফিসারকে তাঁর কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ২-১ দিনের মধ্যে তাঁকে বাগেরহাটের জেলা কারাগার থেকে ঢাকার হাজারীবাগ থানায় নিয়ে আসা হবে।
কচুয়া থানার ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বলেন, ঢাকার হাজারীবাগ থানায় শিক্ষা অফিসার সেলিম তালুকদারের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী জাহানারা বেগম একটি মামলা করেন। তার দায়ের করা মামলার ওয়ারেন্ট হাতে পেয়ে ওই অফিসারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ