সুন্দরবনে ফার্নেশ অয়েল ভর্তি ট্যাঙ্কার ডুবির মূলেও সর্বনাশা সেই দূর্নীতি। বালি বহনকারী একটি জাহাজকে ঘুষ নিয়ে তেল বহনের অনুমতি যারা দিয়েছেন সবার আগে তাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন পরিবেশবিদ সহ বিশেসজ্ঞগণ।
উল্লেক্ষ্য, গত মঙ্গলবার সকালে তেলবাহী ট্যাঙ্কার ওটি সাউদার্ন স্টার-৭ সাড়ে তিন লাখ লিটার ফার্নেস অয়েল নিয়ে সুন্দরবনের শেলা নদিতে ডুবে যায়। এই ওটি সাউদার্ন স্টার-৭ মূলত একটি বালি বহনকারী জাহাজ, যা আদৌ তেল বহনের যোগ্য নয়!
ডুবেযাওয়া জাহাজ থেকে তেল বেরিয়ে ইতিমধ্যে সুন্দরবনের কয়েকশো বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। এ সকল এলাকার মধ্যে আছে ইরাবতী ডলফিন সহ ছয়/সাত প্রকার ডলফিনের হটস্পট, আছে মৎস্য অভয়ারণ্য’র মত স্পর্শকাতর এলাকা। এ ছাড়া উল্লিখিত সমগ্র এলাকাই ম্যানগ্রোভ বন, ফলে নানা জাতের স্বাসমূল সমৃদ্ধ জঙ্গলে তেল ছড়িয়ে পড়ায় তেলের আস্তরে ঢেকে গেছে গাছের স্বাসমূলগুলি, যা মৃত্যু ডেকে আনতে পারে জঙ্গলের এ সমস্ত এলাকার ম্যানগ্রোভের!
এ ছাড়া সুন্দরবন হ’ল ২৭ প্রকার চিংড়ি সহ প্রায় ২৭০ প্রজাতীর মাছের প্রজনন কেন্দ্র যা হুমকির সম্মুখিন। তেলের আস্তরে পানির উপরিভাগ ঢেকে যাওয়ায় মাছ সহ সকল প্রকার জলজ প্রাণীর অক্সিজেন গ্রহণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে ফলে বিপুল পরিমাণে মাছ ও জলজ প্রাণীর মৃত্যুর আশঙ্কা করছেন বিশেসজ্ঞগণ, যা ব্যাপক পরিসরে পরিবেশ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে সুন্দরবন সহ এ অঞ্চলে।








সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ