ভ্রাম্যমান বাজার অভিযানে খুলনা মহানগরীর হাজী মহসিন রোড, আহসান আহমেদ রোড, ডাক বাংলার মোড়, পাওয়ার হাউজ মোড়, সাতরাস্তার মোড়, ময়লাপোতর মোড় ও শিববাড়ী মোড় এলাকার আট টি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ৮৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি ও ফ্রিজের মধ্যে একইসাথে আইসক্রীম, কোমল পানীয় ও কাঁচা মাছ রাখার দায়ে হাজী মহসিন রোডের বিসমিল্লাহ স্টোরকে ৩৭ ধারায় ৫ হাজার টাকা, একই এলাকায় মেয়াদউত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি ও রাখার দায়ে নিত্য প্রয়োজনীয় স্টোরকে ৩৭/৫১ ধারায় ২ হাজার টাকা, নোংরা পরিবেশে খাদ্যসামগ্রী তৈরী ও ফ্রিজের মধ্যে একসাথে মাছ ও নুডুলস রাখার দায়ে আহসান আহমেদ রোডের ক্যান্টন চাইনিজ রেষ্টুরেন্টকে ৪৩ ধারায় ২৫ হাজার টাকা, নোংরা পরিবেশে খাদ্যসামগ্রী তৈরী ও রাখার দায়ে ডাকবাংলার মোড়ে রহমানিয়া হোটেলকে ৪৩ ধারায় ৩ হাজার টাকা, নোংরা পরিবেশে খাদ্যসামগ্রী তৈরী ও ফ্রিজে একসাথে মাছ ও কোমল পানীয় রাখার দায়ে খান এ সবুর রোডের কাইফেং চাইনিজ রেষ্টুরেন্টকে ৪৩ ধারায় ২৫ হাজার টাকা, নোংরা পরিবেশে খাদ্যসামগ্রী তৈরী ও ফ্রিজে একই সাথে দই ও কাঁচা মাংস রাখার দায়ে সাতরাস্তার মোড়ে কাচ্চিঘরকে ৪৩ ধারায় ১০ হাজার টাকা, নোংরা পরিবেশে খাদ্যসামগ্রী তৈরীর দায়ে ময়লাপোতা মোড় রাঁধুনি হোটেলকে ৪৩ ধারায় ৮ হাজার টাকা, নোংরা পরিবেশে খাদ্যসামগ্রী তৈরী ও বাসি খাবার গরম করে পরিবেশন করার দায়ে শিববাড়ী মোড় এলাকায় স্কাই ভিউ হোটেলকে ৪৩ ধারায় ১০ হাজার টাকা সহ মোট আট টি প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭, ৪৩ ও ৫১ ধারায় মোট ৮৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এই অর্থ তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান সমূহের নিকট থেকে আদায় করা হয়। অভিযানকালে সকলকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুসারে ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্যাবলী হতে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হয় ও লিফলেট বিতরণ করা হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধিন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, খুলনা বিভাগীয় কার্যালয় পরিচালিত এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মামুনুল হাসান। অভিযান পরিচালনাকালে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শিকদার শাহীনুর আলম, কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)’র সদস্য শরিফুল ইসলাম সেলিম ও মনোজ দাস এবং র্যাব ও মহানগর পুলিশ প্রশাসনের প্রতিনিধিবৃন্দ।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ