ভেজাল বিরোধী ভ্রাম্যমান অভিযানে আজ খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার বাজার এলাকার ১১টি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ৫২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নোংরা পরিবেশে মিষ্টি সামগ্রী তৈরী ও মূল্য তালিকা না থাকার দায়ে বটিয়াঘাটা বাজারের সাতক্ষীরা ঘোষ ডেয়ারীকে এক হাজার টাকা, একই এলাকায় নোংরা পরিবেশে মিষ্টি সামগ্রী তৈরী ও মূল্য তালিকা না থাকা ও বাসি মিষ্টি বিক্রি করার দায়ে হারান ঘোষ ডেয়ারীকে তিন হাজার টাকা, একই অপরাধে সাতক্ষীরা ঘোষ ডেয়ারীকে দুই হাজার টাকা, একই এলাকায় মেয়াদউত্তীর্ণ কসমেটিকস্ পণ্য ও পণ্যের গায়ে মূল্য লেখা না থাকার দায়ে পুলকেশ সাহার কসমেটিকস’র দোকান কে তিন হাজার টাকা, একই অপরাধে রানী স্টোরকে ১০ হাজার টাকা, চপলা স্টোরকে ১০ হাজার টাকা, একই ধরনের অপরাধে বকুল স্টোরকে দুই হাজার টাকা, বিথী স্টোরকে তিন হাজার টাকা, মেয়াদউত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রয় করা ও ফ্রি ঔষধ স্যাম্পেল বিক্রি করার দায়ে নিপা ফার্মেসীকে তিন হাজার টাকা, অশ্বিণী সাহার ফার্মেসীকে ১০ হাজার টাকা, এবং মেয়াদউত্তীর্ণ কৃষি বীজ বিক্রি ও প্যাকেটের গায়ে মূল্য লেখা না থাকার দায়ে সোনালী কৃষি ভান্ডারকে পাঁচ হাজার টাকা সহ মোট ১১ টি প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭,৪৩ ও ৫১ ধারায় মোট ৫২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এই অর্থ তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান সমূহের নিকট থেকে আদায় করা হয়। অভিযানকালে মেয়াদউত্তীর্ণ আইসক্রীম ও বাসি মিষ্টি জনগণের সম্মুখে নষ্ট করা হয় এবং সকলকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুসারে ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্যাবলী হতে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধিন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর,খুলনা জেলা কার্যালয় পরিচালিত এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শিকদার শাহীনুর আলম। অভিযান পরিচালনাকালে আরও উপস্থিত ছিলেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সৈয়দ রবিউল আলম, সহকারী পরিচালক মামুনুল হাসান, কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)’র সদস্য মনোজ দাস, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার জেসমিন এবং র্যাব ও জেলা পুলিশ প্রশাসনের প্রতিনিধিবৃন্দ।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ