ভ্রাম্যমান বাজার অভিযানে গতকাল খুলনা মহানগরীর খানজাহান আলী রোড, লবনচরা, সাউথ সেন্ট্রাল রোড ও আহসান আহমেদ রোড এলাকার পাঁচ টি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মূল্য তালিকা না থাকা, উৎপাদনের তারিখ না থাকা ও মেয়াদউত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি করার দায়ে খানজাহান আলী রোডের রহমান স্টোরকে ৩৭ ধারায় ১০ হাজার টাকা, একই এলাকায় ফরমালিন যুক্ত বেদানা রাখা ও বিক্রি করার দায়ে ঝর্ণা ফল ঘরকে ৪২ ধারায় ৫ হাজার টাকা, নোংরা পরিবেশে বেকারী খাদ্যসামগ্রী তৈরী, পুরাতন টোষ্ট নতুন প্যাকেটে বাজারজাতকরণ, কারখানার শ্রমিকদের পোশাক পরিধান না করার দায়ে লবচরা এলাকায় বনফুল বেকারী ফ্যাক্টরীকে ৪৩ ধারায় ৫০ হাজার টাকা, নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরী,
বাসি খাবার দিয়ে নুতন খাবার তৈরী করা ও বিক্রি করারা দায়ে সাউথ সেন্ট্রাল রোডের ইএফসি চাইনিজ রেষ্টুরেন্টকে ৪৩ ধারায় ১০ হাজার টাকা, নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরী, খাদ্যদ্রব্যে ক্ষতিকারক স্যাকারিন মেশানো ও বিক্রি করার দায়ে আহসান আহমেদ রোডের চাইনিজ প্যালেসকে ৪২ ধারায় ১৫ হাজার টাকা সহ মোট পাঁচ টি প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭, ৪৩ ও ৪২ ধারায় মোট ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এই অর্থ তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান সমূহের নিকট থেকে আদায় করা হয়। অভিযানকালে সকলকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুসারে ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্যাবলী হতে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হয় ও লিফলেট বিতরণ করা হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধিন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, খুলনা বিভাগীয় কার্যালয় পরিচালিত এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সৈয়দ রবিউল আলম। অভিযান পরিচালনাকালে আরও উপস্থিত ছিলেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মামুনুল হাসান, জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শিকদার শাহীনুর আলম, কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)’র সদস্য মনোজ দাস, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি এবং মহানগর র্যাব ও পুলিশ প্রশাসনের প্রতিনিধিবৃন্দ।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ