খুলনার শিরোমনি আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়নের এস.পি হারুন-অর-রশিদ কর্তৃক শিরোমনি এলাকায় সাধারণ মানুষের উপর নৃশংস অত্যাচার ও হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি বর্ষনের প্রতিবাদে, এবং হারুন সহ সংশ্লিষ্টদের বিচারের দাবিতে আজ খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ’র উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ’র সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান।
তিনি বলেন, শিরোমনি আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়নের পার্শ্বস্থ ব্যক্তি মালিকানাধিন জমি ( কেডিএ’র প্লট) দখলের উদ্দেশ্যে এস.পি হারুন কর্তৃক জমির মালিক মোড়ল আজিজুর রহমান ও তার পরিবারের ১০/১২ জন কে গত ৪ জুলাই বেদম প্রহার করা হয়, যারা বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন।
এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এবং গত ৫ জুলাই এলাকাবাসি শিরোমনি বাজার থেকে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে ফুলবাড়ি গেইট যাওয়ার পথে শিরোমনি আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়নের কাছে পৌঁছলে বিনা উস্কানিতে এস.পি হারুন’র নির্দেশে পোষাক পরিহিত ও সিভিল ড্রেসের আর্মড পুলিশ মিছিলের উপর গুলি বর্ষন করে ও মিছিলকারিদের বেধড়ক পিটুনি দেয়। এতে প্রায় অর্ধশতাধীক মানুষ আহত হয় যাদের অধিকাংশেরই হাত-পায়ের হাড় ভেঙ্গে যায়, যারা সকলেই বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন। এদের মধ্যে ২০ জনের অবস্থা গুরুতর এবং ৪/৫ জনের অবস্থা আশংকা জনক, যার এক জনের মাথায় ৪২টি সেলাই লেগেছে।
তিনি বলেন, এ সময় ২জন সাংবাদিক কে বেধড়ক মারপিট করা হয়, তাদের ক্যামেরা ভেঙ্গে গুড়ো গুড়ো করা হয় এবং মোবাইল ফোন ও মটরসাইকেল ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ ছাড়া শিরোমনি বাজারের দোকানে ঢুকে সাধারণ ব্যবসায়ীদের পেটানো হয়েছে এবং তাদের দোকানের টাকাপয়সা লুটপাট করা হয়েছে ও এলাকার বাড়ি বাড়ি ঢুকে মহিলা এবং শিশুদের উপরও নির্যাত করা হয়েছে, লুটপাট করা হয়েছে। যে সকল মানুষ কে আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়নের সদস্যরা পিটিয়েছে তাদের প্রত্যেকের পকেটের টাকাপয়সা তারা ছিনিয়ে নিয়েছে!
কে এই এস.পি হারুন-অর-রশিদ : তিনি বলেন, এস.পি হারুন-অর-রশিদ জামায়াত-শিবিরের লোক। আগেও খুলনায় চাকুরী করেছে এবং জামায়াত সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সে সময় তাকে অন্যত্র বদলি করা হয়।
তিনি বলেন, প্রধান মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের আইজি’র প্রতি আবেদন, এই কুখ্যাত জনবিরোধী এস.পি হারুন কে অতিসত্তর প্রত্যাহার করে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষিদের শাস্তির ব্যাবস্থা করতে হবে, অন্যথায় খুলনার মানুষ ফুসে উঠতে বাধ্য হবে।
তিনি আরও বলেন, এই অন্যায়ের প্রতিবাদে খুলনাবাসির উদ্যোগে ৭ জুলাই সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে প্রতিবাদি মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হবে এবং আগামী ৮ জুলাই বুধবার বিকাল ৩টায় শিরোমনি শহীদ মিনার চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভুক্তভোগীর পরিবার সহ এলাকাবাসির পক্ষ থেকে থানায় কয়েকটি মামলা দেওয়া হলেও থানা এখনও মামলা নেয় নি। যদি থানা মামলা না নেয় তা হলে আদালতে মামলা করা হবে।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ