জাতীর পিতা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবির অবমাননার প্রতিবাদে আজ খুলনা প্রেস ক্লাবের সম্মুখের রাস্তায় সংবাদ সম্মেলন করে বটিয়াঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা ছাত্রলীগ’র আহ্বায়ক অরিন্দম গোলদার। এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, টাকা পরিশোধ করে বুকিং দেওয়া সত্ত্বেও খুলনা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তাদের ক্লাব অভ্যন্তরে সংবাদ সম্মেলন করতে দেয় নি, ফলে তারা রাস্তায় সংবাদ সম্মেলন করছেন।
তিনি বলেন, গত ১৬ জুলাই অর্থাৎ ২৮ রমজান উপজেলার একজন হিন্দু কলেজ শিক্ষক অধ্যাপক অনুপকে একটি চা’র দোকানে রুটি খাওয়ার অপরাধে গালে থাপ্পড় মারেন ইউএনও বিল্লাল হোসেন খান! এর প্রতিবাদে গত ২০ জুলাই উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ মানববন্ধন করে। ওই মানববন্ধনে যারা অংশগ্রহণ করেন এবং যে সকল সাংবাদিক ওই সংবাদ প্রচার করেন তাদের তালিকা করে ইউএনও বিল্লাল হোসেন খান তাদের ডেকে এনে ভ্রাম্যমান আদালতের নামে মামলা ও জরিমানা করেন। মুক্তিযোদ্ধা এনায়েত আলী বিশ্বাসকে ১৫ হাজার টাকা, জনপ্রতিনিধি বিবেককে চার হাজার সাতশ’ টাকা জরিমানা করা হয়। জনৈক শাহীনকে ১৩ মাসের জেল দিয়ে নথি আটকে রাখা হয় যাতে জামিনের আবেদন করতে না পারেন এবং সাংবাদিক শেখ আব্দুল হামিদকে মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করা হয়।
তিনি বলেন, ইউএনও বিল্লাল প্রতিহিংসার বশে উপজলার বিভিন্ন স্থানে টানানো জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত পোষ্টার, প্যানাফ্লেক্স খুলে নিয়ে ড্রেন ও সেফটি ট্যাংকে ফেলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এর প্রতিবাদে বটিয়াঘাটা উপজেলাবাসী বিল্লালের প্রত্যাহার ও বিচারের দাবিতে খুলনা চীফ জুডিশিয়াল আমলী আদালতে গত ১৫ সেপ্টেম্বর ইউএনও বিল্লাল ও তার অপকর্মের সহযোগী চার জনের বিরুদ্ধে মামলা করে, এবং ১৬ সেপ্টেম্বর ঝাড়ু মিছিল বের করে ও তার কুশপুত্তলীকা দাহ করে।
তিনি বলেন, ছাত্রজীবনে জাহাঙ্গির নগর বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্রদলের ক্যাডার শুটার হিসেবে কুখ্যাতী অর্জনকারী বিল্লাল সাধারণ নাগরীকদের মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে তার অফিসের সামনের নারকেল গাছে পিস্তল দিয়ে গুলি ছুড়ে ভয় দেখানোরও চেষ্টা করে থাকেন। তিনি বলেন, জনমনে ত্রাস সৃষ্টিকারী এই প্রতারক, মিথ্যাবাদী ইউএনওকে অবিলম্বে প্রত্যাহার ও তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ