ইলেক্ট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) সচেতনতা মূলক কর্মশালা আজ সকালে খুলনা সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব মোঃ শহীদ উল্লাহ খন্দকার।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মোঃ শহীদ উল্লাহ খন্দকার বলেন, জাতীয় উন্নয়নের এ সুবর্ণ মূহুর্তে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং দক্ষতার মাধ্যমে সরকারি অফিসার, জনপ্রতিনিধি, নাগরিক সমাজকে একসাথে কাজ করতে হবে। সরকারের সক্ষমতা বেড়েই চলেছে, আমাদেরও দক্ষতা বাড়াতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের রূপকল্পে সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছ ও নির্ভরযোগ্য ই-জিপি পদ্ধতি দেশে ২০১১ সালে চালু হয়েছে। তিনি বলেন, ২০২১ সালের পর কোন টেন্ডার আর ম্যানুয়ালী হবে না। সবই ই-টেন্ডারের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমই বিভাগের অধীন সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেশনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রিফর্ম প্রজেক্ট-২ (পিপিআরপি-২)’র আওতায় দেশে ই-জিপি বাস্তবায়ন করছে। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামসের (বিসিসিপি) সহায়তার ই-জিপি সচেতনতামূলক এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সরকারের বৃহত্তর চারটি ক্রয়কারি সংস্থা যথাক্রমে-স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড-কে টার্গেট করে অন্যান্য এজেন্সিতে সরকারি ক্রয় কার্যক্রমকে আরও গতিশীল, শক্তিশালী ও টেশসই করাই পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রিফর্ম প্রজেক্ট-২ এর মূল উদ্দেশ্য।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন সিপিটিইউ’র সিনিয়র কনসালটেন্ট সফিউল আলম এবং বিশ্ব ব্যাংকের কনসালটেন্ট মোস্তাফিজুর রহমান। খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তৃতা করেন বিসিসিপি’র সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর খাদিজা বিলকিস।
উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে সরকারি ক্রয় কার্যক্রমে দক্ষতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সমআচরণ ও সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা নিশ্চিতকল্পে এবং জনগণের অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালে ২ জুন জাতীয় ই-জিপি পোর্টাল উদ্বোধন করেন। এর মাধ্যমে সরকারি ক্রয়ে ই-টেন্ডারিং ব্যবস্থা চালু হয়। ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি জাতীয় ই-জিপি গাইড লাইন জারী করা হয় সরকারি ক্রয় কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য চলতি বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চারটি টার্গেট এজন্সীসহ ২৪টি মন্ত্রণালয়ের ৯৮টি সংস্থার দুই হাজারের অধিক ক্রয়কারী অফিস ই-জিপি সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত হয়ে ক্রয়কার্য পরিচালনা করেছে। ই-টেহুারিং-এর জন্য ১৬ হাজারের অধিক টেন্ডারার ই-জিপি সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে। ই-জিপি সিস্টেম টেন্ডারারদের রেজিস্ট্রেশন ফি, নবায়ন ফি ও টেন্ডার ডকুমেন্ট ফি গ্রহণের জন্য ৩৯টি ব্যাংকের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়েছে এবং মোট ১৭১৫টি শাখার মাধ্যমে সারাদেশে এ সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
কর্মশালায় সরকারি অফিসার, সরকারি ক্রয়কারী সংস্থার প্রতিনিধি, টেন্ডারার, মিডিয়া ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ