বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) খুলনার গুদাম থেকে ৩ কোটি ২৩ লাখ টাকার সার আত্মসাতের ঘটনায় ৯ অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত দু’দিনে নগরীর নূরনগর দুদক কার্যালয়ে খুলনা বিএডিসিতে বিভিন্ন সময়ে কর্মরত এসব অফিসারদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুদক’র তদন্তকারী অফিসার শামীম ইকবাল জানিয়েছেন, সার আত্মসাতের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির রাঘব বোয়ালরা জড়িত রয়েছেন। দীর্ঘ সময় ধরে গুদামের সার নিয়ে প্রতারনা, অনিয়ম ও আত্মসাতের ঘটনায় আরো কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে তিনি জানান।
এর আগে গত ২৪ ও ২৫ মে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ খুলনার শিরোমনি, রুজভেল্ট ও বয়রা গুদাম পরিদর্শন করে ৩ কোটি ২৩ লাখ টাকার সার ঘাটতির প্রতিবেদন দেয়। খুলনা বিএডিসি’র সহকারি পরিচালক (সার) মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন মোল্লা এ ঘটনায় ১২ মে মামলা করলে সহকারী ভান্ডার রক্ষক জহিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে মামলার শুনানীকালে ১৫ সেপ্টেম্বর খুলনা মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালত সার আত্মসাতের ঘটনায় বিএডিসি’র প্রাথমিক তদন্তে প্রতিষ্ঠানটির উপ-সহকারি পরিচালক, সহকারি পরিচালক ও যুগ্ম পরিচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকায় তাদের বিরুদ্ধেও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
সূত্রমতে, খুলনার বিএডিসি গুদামে সার ঘাটতি ও নিন্মমানের সার মজুদ সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগের পর সংস্থাটির পক্ষ থেকে ৬ সদেস্যের তদন্ত টিম গঠন করা হয়। বিএডিসি’র যুগ্ম পরিচালকের নেতৃত্বে তদন্তকালে সারের গড়মিলের বিষয়টি ধরা পড়ে। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিএডিসি’র সচিব (সার) দেলওয়ার হোসেন ৪১৭২/১ (৪)নং স্মারকে সহকারি ভান্ডার রক্ষককে বরখাস্ত করেন। একই সাথে সরকারি মালামাল আত্মসাতের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ