চিংড়ি ও মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের খসড়া নিম্নতম মজুরি পুনর্বিবেচনার দাবিতে আজ খুলনা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সম্মেলন উদ্যোক্তা খুলনা চিংড়ি শিল্প শ্রমিক স্বার্থ সংরক্ষণ সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক বি এম জাফর।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০০৯ সালে এ শিল্পের জন্য সর্বপ্রথম মজুরি বোর্ড গঠিত হয়, সেখানে সর্বনিম্ন মজুরি নির্ধারিত হয় ২৬৪৫ টাকা। পাঁচ বছর পর এ বোর্ড গত ২০ জানুয়ারী সর্বনিম্ন মজুরি পুনঃনির্ধারণে খসড়া প্রস্তাব করেছে মাত্র ৪,৪১৯ টাকা, যা এ শিল্পের শ্রমিকদের চরম ভাবে হতাশ করেছে, শ্রমিকদের দাবি ছিলো ১২,৬০০ টাকা।
তিনি বলেন, বিশ্ব ব্যাঙ্কের হিসাব মতে চরম দারিদ্রসীমা অতিক্রম করতে একজন শ্রমিকের দৈনিক প্রয়োজন ১.২৫ ডলার, সে হিসেবে ৬ সদস্যের একটি পরিবারের মাসে প্রয়োজন ২২৩.৪২ ডলার বা ৬,৭০২.৭৫ টাকা, অথচ খসড়া মজুরি নির্ধারারণ করা হয়েছে ৪,৪১৯ টাকা, যা আদৌ কাম্য নয়।
তিনি বলেন, একজন শ্রমিকের সুষম খাদ্য গ্রহণের জন্য মাসে প্রয়োজন ২,০৩৯ টাকা, সে হিসেবে গড়ে ৬ জন সদস্যের পরিবারের জন্য মাসে প্রয়োজন ১২,২৩৪ টাকা, অথচ খসড়ায় নির্ধারিত সর্বনিম্ন মজুরি এর মাত্র তিন ভাগের এক ভাগ!
তিনি বলেন, খসড়ায় বলা হয়েছে যে, মজুরি নির্ধারণে বোর্ড মূল্যস্ফীতি ও ভোক্তা মূল্যসূচক হার বিবেচনা করেছে, কিন্তু শ্রম আইনের ৪২ ধারায় বলা হয়েছে যে, জীবন-যাপনের মান, মুদ্রাস্ফীতি, আর্থ-সামাজিক অবস্থা পরিবর্তন হলে বোর্ড তা বিবেচনা করবে, যা এ ক্ষেত্রে সততার সাথে বিবেচিত হয় নি।
তিনি বলেন, এ অবস্থায় চিংড়ি ও মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে কর্মরত শ্রমিকরা খসড়া নিম্নতম মজুরি হারের খসড়া পুনর্বিবেচনার জোর দাবী জানাচ্ছে।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ