“একশ’ কোটি পর্যটক, একশ’ কোটি সুযোগ” প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে সারা বিশ্বের মত খুলনায়ও উদ্যাপিত হচ্ছে বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০১৫।
এ উপলক্ষ্যে সকাল ১০ টায় খুলনা সার্কিট হাউস থেকে একটি র্যালী শুরু হয়ে শেষ হয় খুলনা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে। র্যালী শেষে খুলনা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় এক আলোচনা সভা।
সভায় রূপান্তর ইকো-ট্যুরিজ্যম’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল আজম ডেভিড বলেন, পর্যটন খাত হতে পারে বাংলাদেশের বৈদেশীক মুদ্রা আয়ের অন্যতম খাত। আমাদের অনেক সুযোগ থাকলেও তেমন কোন সুবিধা সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হওয়ায় সে সুবিধা থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। এর ফলে পার্শ্ববর্তীদেশ ভারত পর্যটন ক্ষাত থেকে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে তার তুলনায় আমাদের আয় অতি নগন্য। খুলনার পর্যটনের একটি ব্রাণ্ডনেম দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিলো জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে যা এখনও বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন ক্ষাত হ’ল সুন্দরবন। এর জীববৈচিত্র্য অনন্য, যার অন্যতম হ’ল রয়্যালবেঙ্গল টাইগার যা আজ বিলুপ্তির হুমকির সম্মুখিন। চোরা বাঘ শিকারিরা আজ সুন্দরবনের বাঘ হত্যা করে উজাড় করে ফেলছে অথচ তাদের ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না। সুন্দরবনকে রক্ষা করা সম্ভব না হলে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশও অসম্ভব।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন সিএসএস’ মোঃ আলী আকবর, মানবাধিকার কর্মী শেখ আব্দুল হামিদ। সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, সার্বিক, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ