গাছ কাটা নিষেধ ও বে-আইনী হলেও টেন্ডার ছাড়াই গোপনে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে কেসিসি’র রাস্তার পাশের গাছ। নিরালা আবাসিক এলাকার ২১ নম্বর সড়কের পাশের গাছ বিক্রি হয়ে গেছে বিনা টেন্ডারে। আর এর সাথে জড়িত এ সকল গাছের ‘রক্ষক’ কেসিসি’র সম্পত্তি শাখার পদস্থ ব্যক্তিবর্গ!
দেশের সবচেয়ে দুর্যোগ প্রবণ এলাকার অন্যতম খুলনা। পরিবেশ বিপর্যয় রোধে খুলনা মহানগরীতে সবুজ বেষ্টনি গড়ে তুলতে একসময় কেসিসি হাতে নেয় বৃক্ষ রোপণ প্রকল্প। প্রকল্পের আওতায় টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদার নির্বাচন করে খুলনা মহানগরীর আবাসিক এলাকা সহ বিভিন্ন সড়কের পাশে রোপণ করা হয় হাজার হাজার বিভিন্ন জাতের গাছ।
জনগণের এই সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয় কেসিসি’র সম্পত্তি শাখার উপর। অভিযোগ আছে, সম্পত্তি শাখার কতিপয় অসাধু ব্যক্তি প্রতিনিয়ত সুযোগ খোঁজে এ সকল গাছ লোপাটের এবং ডাল ছাটার নামে তারা প্রায়স বড় বড় বৃক্ষের মোটা মোটা শাখাও কেটে বেচে দেয়।
কেসিসি’র জরুরী তহবিলের কোন প্রয়োজন না থাকা সত্বেও সম্পত্তি শাখার অফিসাররা গত বছর নিরালা আবাসিক এলাকার ১৪ নম্বর সড়কের পাশের ৭/৮ টি বড় বড় শিরিস গাছের সবকটি কেটে বিক্রি করে দিয়েছে, যার ফলে ছায়াশূন্য হয়ে পড়েছে এলাকাটি।
আজ সকালে কতিপয় ব্যক্তিকে নিরালা আবাসিক এলাকার ২১ নম্বর সড়কের পাশের গাছ কাটতে দেখা যায়। এ সময় গাছ কাটার কারণ জানতে চাইলে তারা জানান যে গাছগুলি তারা ক্রয় করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেসিসি’র সম্পত্তি শাখার একজন অফিসার জানান গাছগুলি বিক্রি করা হয়েছে, তবে কোন টেন্ডারের মাধ্যমে হয় নি। সে ক্ষেত্রে কোন প্রক্রিয়ায় গাছগুলি বিক্রি হয়েছে জানতে চাইলে তিনি সন্তোস জনক কোনো উত্তর দিতে পারেন নি।
তবে অন্য একটি সূত্র জানায়, গাছগুলি ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে বিক্রয় করা হয়েছে, যেখানে বিক্রেতাদের গোপন স্বার্থ কাজ করেছে।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ