বে-ওয়ারিশ কুকুরের উৎপাতে আতঙ্কে নিরালা আবাসিক এলাকাবাসি। আবাসিক এলাকার রাস্তাগুলিতে বিপুল সংখ্যক বে-ওয়ারিস কুকুর প্রতিনিয়ত ঘুরছে যাদের চলাফেরা আক্রমণাত্মক, যা এলাকাবাসি সহ নিরালায় হাটতে আসা বিপুল সংখ্যক নারী-পুরুষ প্রাতভ্রমণকারিদের ভিতসন্ত্রস্ত করে তুলছে, অভিযোগ ভুক্তভোগিদের।
ভাদ্রমাস শুরু হওয়ায় শুরু হয়েছে কুকুরের মেটিং সিজন। এ সময় স্বাভাবিক ভাবেই কুকুরেরা থাকে উত্তেজিত এবং এ সময়ে প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক মানুষ কুকুরের কামড়ের শিকার হন। আর কুকুরের কামড় থেকে হয় মারাত্মক রোগ হাড্রফোবিয়া বা জলাতঙ্ক। সময় মত কুকুরের কামড়ের প্রতিশেধক ইঞ্জেকশন বা র্যা বিজ না নেওয়া হলে জলাতঙ্কের ঝুকি থাকে আর একবার জলাতঙ্ক হলে যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যুই ভবিতব্য।
গত কয়েকদিন নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বিপুল সংখ্যক বে-ওয়ারিশ কুকুর চোখে পড়ে। এ সময় আলাপকালে নগরীর নিরালা আবাসিক এলাকা সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ ‘বর্তমানে বে-ওয়ারিশ কুকুরের উৎপাত আতঙ্ক বিষয়ে তাদের অভিযোগ তুলে ধরেন এবং এ থেকে মুক্তি পেতে সিটি কর্পোরেশনের সহয়তা কামনা করেন।
কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত রুগীদের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য অফিসার ডাঃ এ কে এম আব্দুল্লা বলেন, রবিবার ও বুধবার কুকুরের কামড়ে আক্রান্তদের র্যা বিজ দেওয়া হয়, তবে কি ধরনের র্যা বিজ কত পরিমাণ আছে, র্যা বিজ’র সংকট আছে কি-না, র্যা বিজ নিতে টাকা লাগে কি-না, লাগলে তার পরিমাণ কত, ইদানিং কি পরিমাণ আক্রন্তদের র্যা বিজ দেওয়া হয়েছে ইত্যাদি বিভিন্ন তথ্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া কোন প্রকার তথ্য প্রদান করা নিষেধ বিধায় কোন তথ্য প্রদান করা সম্ভব নয়।
উল্লিখিত বিষয়ে জানতে চাইলে নগরীর বে-ওয়ারিশ কুকুর নিয়ন্ত্রনকারী সংস্থা কেসিসি’র কঞ্জার্ভেন্সি বিভাগের সহকারী কঞ্জার্ভেন্সি অফিসার এস কে এম তাসাদুজ্জামান বলেন, নিয়মিত ভাবে নগরীর বে-ওয়ারিশ কুকুর নিধন অভিযান চলছে। একটি টিম এ কাজে নিয়জিত আছে। বিগত এক মাসে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে প্রায় তিন শতাধিক কুকুর নিধন করা হয়েছে। অতি দ্রুতই নগরবাসিকে বে-ওয়ারিশ কুকুরের উৎপাত থেকে মুক্ত করা সম্ভব হবে।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ