খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান আজ খুলনা প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সকল মাধ্যমের সাংবাদিকদের সাথে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়ন বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এ সময় তিনি বলেন উন্নয়ন তরান্বিত করেতে হলে সাংবাদিকদের ওয়াচডগ’র ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিনের সুবিধা বঞ্চিত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নে বর্তমান সরকার খুবই আন্তরিক। মংলা বন্দরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে বিশেষ অর্থনৈতিক জোন। আর সে কারণে বন্দরকে সার্বক্ষণিক সচল রাখতে বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন সার্বক্ষণিক ড্রেজারের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নগরীর তিনটি স্কুল সরকারী করণের ব্যবস্থা প্রায় সম্পন্ন এবং নতুন আরও তিনটি স্কুলের টেন্ডার এবং কার্যাদেশ প্রদান খুব শিঘ্রই সম্পন্ন হবে।
তিনি বলেন, নতুন যে খুলনা-মংলা রেলওয়ে হচ্ছে সেখানে আরও নতুন নতুন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে যার সাথে যুক্ত হবে পর্যটন মন্ত্রনালয়ও। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই পর্যটন মন্ত্রীর সাথে আলাপকালে তিনি জানিয়েছেন যে খুব দ্রুতই খুলনার মুজগুন্নি এলাকায় পর্যটনের যে জমি আছে সেখানে একটি পাঁচতারা হোটের নির্মাণ কারা হবে।
তিনি বলেন, এ অঞ্চল বিশেষ অর্থনৈতিক জোনে পরিণত হলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বর্তমানের তুলনায় আরও উন্নত হতে হবে, তাই ইতিমধ্যেই তিনি যোগাযোগ মন্ত্রীর সাথে এ বিষয়ে আলাপ সম্পন্ন করেছেন যাতে এ অঞ্চলের রাস্তাগুলি ফোর লেনে উন্নিত করা হয়, এবং মন্ত্রী এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মত দিয়েছেন।
তিনি বলেন, খুলনা মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ময়ূরনদীর খনন ও অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ একটি অন্যতম বিষয়। তিনি সাংবাদিকদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, তাঁর কাছে সংবাদ আছে ময়ূরনদীর বিভিন্ন এলাকা আবারও দখলদাররা দখল করে নিচ্ছে, সাংবাদিকরা যেন এ বিষয়ে সরেজমিনে সংবাদ প্রকাশ করে, এ ক্ষেত্রে দখলদার যে দলেরই হোক তাকে ছাড়া হবে না। তিনি অরও বলেন, ময়ূরনদী খনন করা হয়েছে, সে কাজের গুনগত মান কেমন তাও যেন সাংবাদিকদের রিপোর্টে থাকে।
তিনি খুলনা সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন কাজের ধীর গতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, খুলনা মহানগরীতে বেড়ানোর মত কোন পার্ক নেই, ময়ূরনদীর পাড়ে যে লিনিয়ার পার্ক তৈরী হচ্ছে তা বছরের পর বছর ধরেই হচ্ছে, কবে শেষ হবে তা কেউ জানে না! নগরীর রাস্তার কাজের গুনগত মান নিয়েও বর্তমানে অনেক অভিযোগ আছে বলে তিনি জানান এবং কর্তৃপক্ষকে এ সকল সমস্যা দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানান।
তবে তিনি চরম হতাশা ব্যক্ত করেন আমলাদের কর্ম পন্ডের সংস্কৃতি নিয়ে। তিনি বলেন, তিনি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নিকট থেকে যে সকল প্রকল্প অনুমোদন করান তা সবই পন্ড করে দিচ্ছে আমলারা অহেতুক জটিলতা বা আমলাতান্ত্রিন মানসিকতার জন্য। আমলাদের নিকট একাধিকবার বিভিন্ন প্রকল্পের পেপারস জমা দিয়েও তাদের নিকট থেকে সময় মত কাজ পাওয়া যাচ্ছে না যা আসলে অনেক প্রকল্পের মৃত্যুরও কারণ হতে পারে। তিনি এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সহয়তা কামনা করেন এবং সাংসদের সাথে আলাপ করে বিভিন্ন প্রকল্পের বিষয়ে প্রতিনিয়ত সঠিক হাল তথ্য তুলে ধরার মাধ্যমে প্রকল্পগুলির গতি বৃদ্ধিতে সহয়তা করার অহ্বান জানিযে বলেন, সাংবাদিকরা যদি ওয়াচডগ’র গুরু দাযিত্ব পালন করতে পারেন তা হলে অবশ্যই এ অঞ্চলের উন্নয়ন তরান্বিত হবে। মতবিনিময় সভায় তার সাথে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ