বিজ্ঞান ভিত্তিক আধুনিক শিক্ষা জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন’র নিশ্চয়তা দেবে

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, শিক্ষার মূল লক্ষ্য হচ্ছে জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন। যে শিক্ষায় এটা নেই তা কোন কাজে আসে না। লক্ষ্য অর্জনে যার যার অবস্থানে থেকে কাজ করার জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি আজ খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের ‘হীরক জয়ন্তী’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কেরানী তৈরির শিক্ষার পরিবর্তে কারিগরী শিক্ষার ওপর সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে। যারফলে বর্তমানে ১২ শতাংশ শিক্ষার্থী কারিগরী শিক্ষায় পড়াশুনা করছে যা আগে ছিল এক শতাংশ মাত্র। বিশেষ পরিকল্পনা নিয়ে নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। বৈষম্য দূর করে বছরের শুরুতে ধনী-গরীব সকল ছেলেমেয়েদের হাতে বই পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের নৈতিক মূল্যবোধ এবং মানুষের সাথে ভাল ব্যবহার করার গুণ অর্জন করতে হবে। বিজ্ঞান ভিত্তিক আধুনিক চিন্তাধারা, সাংস্কৃতি ও দৃষ্টিভঙ্গী ধারণ করতে হবে। ছেলেমেয়েদের সমান সুযোগ নিশ্চিত করা গেলে তারা সমানতালে কাজ করতে সক্ষম, এটা এখন প্রমাণিত।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার মূল উদ্দেশ্য ছিল সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশ গড়া। বর্তমানে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। মানুষের গড় আয়ু ৩৯ থেকে বেড়ে ৭০ বছর হয়েছে। কৃষিক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পাঁচ বছরের মধ্যে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। আর্থিকভাবে এখনো দারিদ্র থাকলেও নতুন প্রজন্ম বিশ্বের যে কোন প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে সক্ষমতা অর্জন করছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, তালুকদার আবদুল খালেক এমপি, মন্নুজান সুফিয়ান এমপি এবং খুলনা জেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ হারুনুর রশিদ। সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আবদুল আলীম।

উল্লেখ্য, ১৯৪০ সালের ১৮ জুলাই প্রয়াত মহেন্দ্র কুমার ঘোষ মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রথমে এর নাম ছিল রাজেন্দ্র কুমার গার্লস কলেজ। প্রথম ক্যাম্পাস ছিল খুলনা করোনেশন গার্লস স্কুল এবং ২য় ক্যাম্পাস খুলনা সিটি ল কলেজে। ১৯৬৫ সাল থেকে এটি বর্তমান বয়রাস্থ নিজস্ব ক্যাম্পাসে অবস্থান করে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এটি ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে সরকারিকরণ করা হয়। বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক সহ ১২টি বিষয়ে অনার্স ও ৬টি বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স চালু রয়েছে। বর্তমানে ১০ হাজার ১২৭ জন ছাত্রী অধ্যায়নরত এবং ৮২ জন শিক্ষক ও ৬৬ জন কর্মচারী কর্মরত আছেন।

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *