নগরীর বিভিন্ন সড়কের পাশের জায়গা অ-বৈধ ভাবে দখল করে গড়ে উঠেছে ইট-বালুর জমজমাট ব্যবসা। এর ফলে একদিকে যেমন নোংরা হচ্ছে নগরীর পরিবেশ,ধুলাবালির শিকার হচ্ছে এলাকাবাসী ও পথচারীগণ, অন্যদিকে রাস্তায় চলাচলে দুর্ঘটনার ঝুকি বাড়ছে যার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ।সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট অভিযোগ করেও ফল হচ্ছে না, এমন অভিযোগ ভুক্তভোগিদের।
নগরীর শের-এ-বাংলা রোড, মজিদ স্মরনী, সোনাডাঙ্গা বাইপাস সহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে অ-বৈধ ইট-বালুর ব্যবসা। এ সকল অবৈধ প্রতিষ্ঠান থেকে এলাকার পরিবেশ নোংরা হলেও দেখার কেউ নেই।
কেসিসি’র কঞ্জারভেন্সি বিভাগ জানায়, নগরীর সড়কগুলি পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য ৩১টি ওয়ার্ডে প্রায় ৭০ জন পরিচ্ছন্ন কর্মী অছেন যারা সড়ক পরিচ্ছন্ন রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন, কারণ প্রয়োজনের তুলনায় পরিচ্ছন্ন কর্মীর সংখ্যা অপ্রতুল। এ অবস্থায় পরিকল্পিত ভাবে যদি কেউ নগরীর সড়ক নোংরা করে তবে সে নোংরা সামলানো বর্তমান কাঠামোর পরিচ্ছন্ন কর্মীদের পক্ষে সম্ভব নয়।
নগরীর সড়ক পার্শ্বস্থ সকল জায়গা রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব কেসিসি’র সম্পত্তি শাখার। নগরবাসির অভিযোগ সম্পত্তি শাখার কর্মীদের অবহেলা ও নজরদারীতে গাফিলতির সুযোগে নগরীতে গড়ে উঠেছে এ সকল অ-বৈধ প্রতিষ্ঠান। যে সকল এলাকায় এ সব অ-বৈধ ইট-বালুর দোকান গড়ে উঠেছে সে এলাকার বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশী ধুলোবালির অত্যাচারের শিকার। ভুক্তভোগী এ সকল নাগরীকদের অভিযোগ, কেসিসি’র দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের নিকট অভিযোগ করেও কোন ফল হচ্ছে না। তাদের অভিযোগ, দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সাথে অবৈধ দখলদার ইট-বালু ব্যবসায়ীদের অবৈধ লেনদেন’র সম্পর্ক গড়ে উঠেছে বিধায় অ-বৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে না।
এ সকল বিষয়ে কেসিসি’র সম্পত্তি শাখার আধিকারিকদের বক্তব্য, নগরীর সকল সড়ক পার্শ্বস্থ জায়গা এবং ফুটপাথ দখলমুক্ত রাখা সম্পত্তি শাখার কর্মীদের দায়িত্ব এবং এ সকল জায়গা দখল করে যারা ব্যবসা করছে তারা অপরাধী, তাদের ব্যবসা অ-বৈধ। অবৈধ দখল ও ব্যবসা উচ্ছেদ করা হচ্ছে না কেন এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য, দ্রুতই এদের উচ্ছেদ করা হবে।
সিটি কর্পোরেশনের আইনানুযায়ী রাস্তার যায়গা দখল করে কেউ কোন বস্তু রাখলে সেই বস্তু বাজেয়াপ্ত করা ও তাদের বিরুদ্ধে জরিমানার বিধান আছে। যারা এ ধরনের কর্মে জড়িত তাদের জিনিসপত্র বাজেয়াপ্তও করা হচ্ছে না জরিমানাও করা হচ্ছে না। তবে কেন হচ্ছে না সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ নিরব।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ