খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ অদ্যবধি খুলনার গণমাধ্যম সব সময় প্রগতি, উন্নয়ন ও স্বাধীনতার স্বপক্ষে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
‘জাতীয়তাবাদী ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে খুলনার সাংবাদিকদের ভূমিকা আমাদের সব সময় অনুপ্রাণিত করেছে। পাকিস্তান আমলে গণমাধ্যম অনেক কালাকানুন উপেক্ষা করে গণমানুষের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেছে। ভাষা আন্দোলন, ছয়দফা, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান সর্বোপরি মুক্তিযুদ্ধে স্থানীয় দৈনিক-সাপ্তাহিকগুলো জনমত সৃষ্টিতে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছে। আজকের পত্র-পত্রিকাগুলোকেও এই ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে।
আজ সোমবার ২৩ ডিসেম্বর খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবির বালু মিলনায়তনে ‘খুলনার গণমাধ্যম ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষনে তিনি এসব কথা বলেন।
বইটির রচয়িতা সাংবাদিক কাজী মোতাহার রহমান বাবু। প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ওয়াদুদুর রহমান পান্নার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বেতার খুলনা আঞ্চলিক পরিচালক মোঃ বশির উদ্দিন, প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম হাবিব, সাপ্তাহিক কোলাহল সম্পাদক এ্যাড. ড. জাকির হোসেন, আঞ্চলিক তথ্য অধিদপ্তরের উপ-প্রধান তথ্য অফিসার ম. জাভেদ ইকবাল, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শেখ আবু হাসান। স্বাগত বক্তৃতা করেন বইটির প্রকাশক ও দৈনিক কালান্তর সম্পাদক কাজী তারিক আহমদ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা স ম বাবর আলী, সিনিয়র সাংবাদিক মনিরুল হুদা, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মকবুল হোসেন মিন্টু, পুর্বাঞ্চল সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সনি, দৈনিক আজকের তথ্য’র সম্পাদক এসএম নজরুল ইসলাম, প্রবর্তন সম্পাদক মোস্তফা সারোয়ার, সিনিয়র সাংবাদিক এনায়েত আলী বিশ্বাস, মুন্সী আবু তৈয়ব, গৌরাঙ্গ নন্দী, মামুন রেজা, হাসান আহমেদ মোল্যা, সময়ের খবর’র মফস্বল সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন, সাংবাদিক সোহরাব হোসেন, এএইচএম শামিমুজ্জামান, এহতেশামুল হক শাওন, জিয়াউস সাদাত, মুহাম্মদ নুরুজ্জামান, আবু হাসান হিমালয়, আহমদ মুসা রঞ্জু, আশরাফুল ইসলাম নূর, নূর ইসলাম রকি, মোহাম্মদ মিলন, সুমন্ত কুমার চক্রবর্তী ও নূর হাসান জনি, রাজনীতিক এ্যাড. সুজিত অধিকারী, শরীফ শফিকুল হামিদ চন্দন, আ ব ম নুরুল আলম, শ্যামল সিংহ রায় বাবলু, এ্যাড. নবকুমার চক্রবর্তী, এ্যাড. জালাল উদ্দিন রুমী, খন্দকার মুজিবর রহমান, এ্যাড. অচিন্ত্য দাশ, এ্যাড. কানিজ ফাতেমা আমিন, এ্যাড. মোঃ আব্দুল মজিদসহ খুলনার জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিক, সাংবাদিক, লেখক-সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক ও উন্নয়ন কর্মীসহ সকল শ্রেণি পেশার প্রতিনিধিবৃন্দ।
বইয়ে যে সব তথ্য রয়েছে তার মধ্যে, ভাষা আন্দোলনে খুলনার পত্রপত্রিকার ভূমিকা, খুলনা সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটের ভাষা সৈনিকদের নাম-ঠিকানা, ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনের ফলাফল, ১৯৬৬ সালের ছয়দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালে প্রদীপ, হাদিস ও আলতাফের মৃত্যু সম্পর্কে দৈনিক আজাদ, ডেইলি অবজারভারের প্রকাশিত প্রতিবেদন, ১৯৭১ সালের ক্যালেন্ডার, ১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর খুলনা সার্কিট হাউসে আত্মসমার্পনের ছবি, ৭১’র খুলনার সন্তান চার শহীদ সাংবাদিকের জীবনী, ৭১’র দুইজন সাংবাদিক নির্যাতনের বর্ণনা, বৃহত্তর খুলনার ৭০জন সাংবাদিকের জীবনী, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাপরোধীদের তালিকা, রেডিও পাকিস্তান খুলনা কেন্দ্রের ভূমিকা, ১৯৭১ সালে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খুলনার রণাঙ্গণের প্রতিবেদন ও ১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে দৈনিক বাংলায় প্রকাশিত খুলনার রণাঙ্গনের প্রতিবেদন।








সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ