পুলিশের হাতে নাকগরীক হত্যার প্রতিবাদে ক্ষোভে-বিক্ষোভে রণক্ষেত্র যুক্তরাষ্ট্র। বিক্ষোভকারীদের দমাতে অন্তত ৪০ টি শহরে জারি করা হয়েছে কারফিউ। তবে এসব অমান্য করে টানা ষষ্ঠ দিনের মত রাস্তায় নেমেছে বিক্ষোভকারীরা।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির দাঙ্গা পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের নিউ ইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া, লস এঞ্জেলসে সংঘর্ষ বেধেছে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের হটাতে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ এবং মরিচ গুঁড়া ছুঁড়েছে।
স্থানীয় এক টিভি ফুটেজে, ফিলাডেলফিলায় পুলিশের গাড়িতে ভাংচুর ও একটি স্টোরে লুটপাটের দৃশ্য দেখা গেছে। এছাড়া বিভিন্ন শহরে পুলিশের গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া ও দোকানপাট লুটের ঘটনাও ঘটেছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল হোয়াইট হাউজের বাইরেও বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।
দেশটির ন্যাশনাল গার্ড জানিয়েছে, ওয়াশিংটন ও ১৫ রাজ্যে তাদের ৫ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
গত ২৫ মে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের বড় শহর মিনিয়াপলিসে পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ নাগরীক নির্মমভাবে নিহত হন। এরপরই শুরু হয় বিক্ষোভ। ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনায় চার পুলিশ অফিসারকে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত করে মিনিয়াপলিস পুলিশ বিভাগ।
এদের মধ্যে ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাঁটু দিয়ে চেপে ধরা ৪৪ বছর বয়সী দেরেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ফ্লয়েডকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। সোমবার তাকে আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছে একমাস টানা বিক্ষোভ চলবে। বিবিসি।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ