পর্যটন সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, উন্নয়ন পরিকল্পনায় পর্যটনকে সম্পৃক্তকরণ এবং বাংলাদেশের পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তাকরণ বিষয়ে খুলনায় আজ (বৃহস্পতিবার) বিকালে অনলাইন জুম প্রযুক্তিতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মশালায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন বেসরকারি বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী। খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন তাঁর সম্মেলনকক্ষে হতে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতির অপার নিদর্শন সুন্দরবনকে মানুষ দেখতে চায়। পর্যটকদের জন্য সুন্দরবন উম্মুক্ত করে দেওয়া হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটকরা আগামীতে দেশের সকল পর্যটন কেন্দ্রে যেতে পারবেন। পর্যটনের সাথে স্থানীয় মানুষকে যুক্ত করে তাদের অবস্থা পরিবর্তনের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। দেশে পর্যটনের সম্ভাবনা অনেক, একে আকর্ষণীয় করে তুলতে উদ্ভাবনী পরিকল্পনা গ্রহণ করা আবশ্যক।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০১৯ সালের তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের জিডিপিতে পর্যটনের অবদান ৮ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার যা বিশ্ব জিডিপির ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ। এই খাত বিশ্বের প্রায় ৩৩০ মিলিয়ন মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশের জিডিপিতে পর্যটনের আবদান ৩ শতাংশ এবং কর্মসংস্থানে অবদান ২ দশমিক ৯০ শতাংশ।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের বক্তব্যে খুলনার উন্নয়নে পর্যটনের সম্ভাবনা বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য ও মতামত উঠে আসে। ট্যুরিজম বোর্ডের পরিচালক (বিপণন, পরিকল্পনা ও জনসংযোগ) আবু তাহের মুহাম্মদ জাবেরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন কেসিসি’র প্রধান নিবার্হী অফিসার পলাশ কান্তি বালা, বিভাগীয় বন অফিসার মোঃ বশিরুল-আল-মামুন, ফুলতলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আকরাম হোসেন, দাকোপ উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোঃ আবদুল ওয়াদুদ, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, রূপান্তরের প্রধান নির্বাহী স্বপন গুহ, ট্যুর অপারেটর এ্যাসোসিয়েশন খুলনার সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আজম ডেভিড। কর্মশালায় খুলনা জেলা পরিষদের প্রধান নিবার্হী অফিসার মোঃ আছাদুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউর রহমানসহ জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মচারী ও পর্যটন সংশ্লিষ্টরা অংশগ্রহণ করেন।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ