জাপানি গবেষকরা বর্জ্য পরিশোধন প্ল্যান্টের পানিতে করোনাভাইরাসের উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এই উদঘাটন ভবিষ্যতে মহামারীর ক্ষেত্রে আগাম সতর্ক সংকেত হিসাবে কাজ করতে পারে।
রয়টার্স জানায়, গবেষণায় পশ্চিম জাপানের ইশিকাওয়া এবং তোয়ামা অঞ্চলের চারটি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের পানি পরীক্ষা করা হয়েছে। তোয়ামা প্রিফেকচারাল বিশ্ববিদ্যালয়, কানাজাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষণা অনুযায়ী, ২৭টি নমুনার মধ্যে সাতটিতে সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের পজিটিভ ফল এসেছে।
অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে একই ধরনের গবেষণায় বর্জ্যে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা গিয়েছিল। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের নমুনা পরীক্ষা কোনো অঞ্চলের বাসিন্দাদের প্রত্যেককে আলাদাভাবে পরীক্ষা না করেই আক্রান্তের সংখ্যা নিরূপণে ব্যবহার করা যেতে পারে।
এই গবেষণায় সরাসরি জড়িত না থাকা কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইউকি ফুরুসে বলেন, “চলমান কমিউনিটি ট্রান্সমিশন (সম্ভবত যা কারও নজরে পড়েনি) সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করার জন্য বর্জ্য পরীক্ষা একটি প্রাথমিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে ব্যবহৃত হয়।”
জাপান করোনাভাইরাস মহামারীর সম্ভাব্য দ্বিতীয় পর্যায় মোকাবিলার পরীক্ষার কৌশলগুলো আরও উন্নয়ন করছে। সংক্রমণের হার নির্ধারণে দেশটিতে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা হচ্ছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দ্রুত নেগেটিভ কেস নিশ্চিত করতে অ্যান্টিজেন পরীক্ষারও অনুমোদন দিয়েছে।
জাপানে পলিমারাইজ চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) পরীক্ষায় ফল পেতে সময় লাগে ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত। সেখানে দেশটিতে তৈরি করা কিটে অ্যান্টিজেন টেস্টে ফল আসে ১০ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ