১৭ মার্চ স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচির আলোকে খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
ওইদিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে তোপধ্বনির মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু হবে। সরকারি, আধাসরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ভবন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুর হৃদয় হোক রঙিন’।
ওইদিন সকাল আটটায় বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্রে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। বিভিন্ন মসজিদে বাদজোহর মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠান এবং মন্দির, গীর্জাসহ অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে। সকাল নয়টায় হাসপাতাল, কারাগার, শিশু পরিবার ও এতিমখানায় বিশেষ খাবার পরিবেশন ও মিষ্টি বিতরণ করা হবে।
দিবসটি উপলক্ষে স্মরণিকা, গ্রন্থ, দেয়াল পত্রিকা প্রকাশ করা হবে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও সড়কদ্বীপ, সকল সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানে আলোকসজ্জা, মুজিববর্ষ উদযাপনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যানার ও ফেস্টুন স্থাপন, সৌন্দর্যবর্ধন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হবে। সন্ধ্যায় আতশবাজির আয়োজন থাকবে।
১৭ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টায় খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে আলোচনা সভা ও শিশুদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। খুলনায় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত স্থানসমূহে স্থানীয় প্রশাসন আলাদাভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। সুবিধাজনক সময়ে শিশুদের রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে ওইদিন চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ নিজস্ব উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।
ওইদিন সন্ধ্যায় খুলনা জেলা তথ্য অফিস বিভিন্ন স্থানে বড় আকারের এলইডি স্ক্রিনে স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর ওপর স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করবে। সুবিধাজনক সময়ে জেলা ও উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও মহান মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক পুস্তক ও ডকুমেন্টরি সপ্তাহব্যাপী প্রদর্শন এবং বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ প্রচার করা হবে।
স্থানীয় পত্রিকায় বিশেষ নিবন্ধ ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। উপজেলা পর্যায়েও অনুরূপ অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে।
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ