মোংলা বন্দরের জেটিতে ৯.৫-১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ হ্যান্ডেল করার লক্ষ্যে আজ (শনিবার) মোংলা বন্দর চ্যানেলের ইনার বারে ড্রেজিং কাজ শুরু হয়েছে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে মোংলা বন্দরের জয়মনিরগোল পয়েন্টে ড্রেজিং কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মোংলা বন্দরটি বিগত বিএনপি সরকারের আমলে মৃতপ্রায় বন্দরে পরিণত হয়। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতিসহ অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে মোংলা বন্দর একটি লাভজনক বন্দরে পরিণত হয়েছে। বন্দরের উন্নয়নে লক্ষ্যে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে মোংলা বন্দরের আউটার বারে ড্রেজিং কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আউটার বারে ড্রেজিংয়ের ফলে বন্দরের এ্যাংকোরেজ এলাকা পর্যন্ত ৯.৫ মিটার ড্রাফটের জাহাজ আসা শুরু করেছে। এতে করে বন্দরে আগত জাহাজের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে বন্দরের রাজস্ব আয় বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, ইনার বারে ড্রেজিং সমাপ্ত হওয়ার পর বন্দরে আগত জাহাজের টার্ণ এ্যারাউন্ড টাইম কমে যাবে এবং পণ্য পরিবহন খরচ সাশ্রয় হবে। মোংলা বন্দরে জাহাজের সংখ্যা অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে, যা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নসহ দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। মোংলা বন্দর ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা রাখবে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।
ইনার বারে ড্রেজিং প্রকল্পের জন্য ব্যয় হবে ৭৯৩ কোটি ৭২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। ২০২২ সালের জুনের মধ্যে ড্রেজিংয়ের কাজ শেষ হবে। ইনার বারে ২১৬.০৯ লক্ষ ঘন মিটার ড্রেজিং করা হবে। চীনের প্রতিষ্ঠান জিয়ানসু হাইহং কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড এবং চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন কর্পোরেশন যৌথভাবে ড্রেজিং কাজটি করবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইনার বারে ড্রেজিং প্রকল্প পরিচালক শেখ শওকত আলী, বন্দর কর্তৃপক্ষের বিভাগীয় প্রধানগণ, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের ঊর্ধ্বতন অফিসার, বিভিন্ন দপ্তরের সরকারী অফিসারসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ