খুলনার বটিয়াঘাটার আলোচিত শিশু ধর্ষণ মামলায় দুই আসামিকে ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। গতকাল বুধবার দুপুরে খুলনা অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাদিউজ্জামান এ রিমান্ডের নির্দেশ দেন। অপরদিকে এ মামলার ভিকটিম (১৩) জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ এর বিচারক রনক জাহানের আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছে।
রিমান্ড প্রাপ্ত আসমিরা হচ্ছে, বটিয়াঘাটা উপজেলার ফুলবাড়ি গ্রামের মোহম্মদ শেখের ছেলে মুজাহিদ শেখ ও গ্রামের হুমায়ুন মোড়লের ছেলে নাঈম মোড়ল।
আদালত সূত্র জানায়, ফুলবাড়ি গ্রামের মুজাহিদ প্রায়ই ১৩ বছরের ওই স্কুল ছাত্রীকে উত্যক্তসহ বিভিন্ন ধরণের কুপ্রস্তাব দিত। তাতে সাড়া না দিলে তার ক্ষতি করার হুমকি দেয়। ঘটনার দিন রাতে ভিকটিমের বাবা মা কেউ বাড়িতে ছিল না। বাড়িতে ওই শিশু ও তার খালাতো বোন ছিল। এ সুযোগ পেয়ে মুজাহিদ শেখ, আজিজুল মোড়ল ওরফে মেশোসহ আরও দুজন ওই বাড়িতে প্রবেশ করে। বাড়িটি নির্মাণাধীণ হওয়ায় ঘরের দরজা ও জানালা দড়ি ও কাপড়ের সাহায্যে বেঁধে রাখা ছিল।
দুর্বৃত্তরা ওই দিন রাতে টেস্টার ও ধারালো ছুরির সাহায্যে দরজার দড়ি কেটে ফেলে। ঘরে ঢুকে মেশো ওই ভিকটিমের মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। শিশুটি তাকে চিনতে পেরে আকুতি জানায়। মেশো সেখান থেকে বের হয়ে আসে। এরপর মুজাহিদ ঘরের ভেতর গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। শিশুটি চিৎকার করলে তারা পালিয়ে যায়।
ঘটনাটি ওই এলাকাসহ খুলনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে র্যাব ও পুলিশ তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। গত মঙ্গলবার এ মামলার আসামি আজিজুল মোড়ল ওরফে মেশো আদালতে ধর্ষণের ঘটনায় তার অবস্থানের কথা জানিয়ে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। এ ঘটনায় শিশুটির মা তিনজন আসামির নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত অফিসার মুজাহিদ শেখ ও নাঈমকে আদালতে উপস্থিত করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান। আদালত তাদের দুজনকে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্ত অফিসার ও বটিয়াঘাটা থানার ওসি (তদন্ত) মো. জাহিদুর রহমান জানান, আজ বুধবার দুপুরে একই আদালতে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। অপর আসামি আজিজুল মোল্লা ওরফে মিশরিয়া গত মঙ্গলবার আদালতে ধর্ষণের ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।








সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ