খুলনায় হত্যা মামলায় আদালত আসামি জসিমকে মৃতুদন্ড দিয়েছে। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম আশিকুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামি জসিম ২০০৯ সালের ১৯ মে হত্যাকান্ডর পর থেকেই পলাতক রয়েছেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট কাজী সাব্বির আহমেদ।
আদালত সূত্র জানায়, নিহত জাহাঙ্গীর হোসেন নগরীর হাজী ইসমাঈল লিংক রোডের ইসলাম কমিশনার মোড়ের বাসিন্দা হেলাল উদ্দীনের ছেলে। তিনি শেরে বাংলা রোড বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ- ১ এর সাহায্যকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। হেলালের বাড়ির নিচতলায় রবিউল নামে একজন ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস ও ঘরের সঙ্গে মুদি দোকানের ব্যবসা পরিচালনা করতেন।
অপরদিকে আসামি জসিম পেশায় একজন রিকশাচালক ছিলেন। তিনি রবিউলের প্রতিবেশী ছিলেন। ২০০৯ সালের ১৯ মে ঘটনার ৬ দিন আগে রবিউলের দোকান থেকে একটি মোবাইল ফোন চুরি হয়। জসিম মোবাইল ফোন উদ্ধার করা বাবদ মুদি ব্যবসায়ীর নিকট থেকে ৮০০ টাকা নেয়। কিন্তু মোবাইল ফোন উদ্ধার করে না দিয়ে জসিম টালবাহানা শুরু করে দেয়। এ নিয়ে ওই এলাকায় একটি শালিসীর আয়োজন করে মুদি ব্যবসায়ী রবিউল। ২০০৯ সালের ১৯ মে শালিসীর পর জাহাঙ্গীর হোসেন জসিমকে মোবাইল ফোন চুরির জন্য সন্দেহ ও তাকে ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য বলে। এ ঘটনায় জসিম বাড়ির মালিক জাহাঙ্গীরের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। ওই দিন বিকেল ৫ টার দিকে জাহাঙ্গীর মুদি দোকান ব্যবসায়ীর বেঞ্চে বসে বাড়ির কাজ দেখাশুনা করছিলেন। এ সময় জসিম পেছন থেকে জাহঙ্গীরের গলায় ও ঘড়ে সজোরে ধারালো ছুরিকাঘাত করে। ঘটনাটি টের পেয়ে স্থানীয়রা ধাওয়া করেও তাকে আটক করতে পারেনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় জাহাঙ্গীরকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। রাত সোয়া ৮টার দিকে নিহত জাহাঙ্গীরের বড় ভাই বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা থানায় জসিমকে আসামি করে হত্যা মামলা দয়ের করেন। একই বছরের ৩০ ডিসেম্বর সোনাডাঙ্গা থানার এসআই জি এম নজরুল ইসলাম ঘাতক জসিমকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন ১৮ জন আদালতে স্বাক্ষ্য প্রদান করেন।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ