খুলনায় ৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র অফিসার আব্দুল মজিদ সিদ্দিকীকে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে খুলনা মহানগর বিশেষ দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করলে বিচারক শহিদুল ইসলাম জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মজিবর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আদালত সূত্র জানায়, ১৯৯৪ সালের ১৭ ফেব্রæয়ারি জনতা ব্যাংকের অগোচরে নগরীর শিরোমনি এলাকার মেসার্স ট্রান্স ওশ্যান ফাইবার প্রসেস (বিডি) লিমিটেডকে লে-অফ ঘোষণা করে মালিকপক্ষ। এসময় মিলের গোডাউনে ব্যাংকের ঋণ আদায়ের জন্য ৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকার পাট মজুদ আছে বলে প্রতিবেদন দাখিল করেন জনতা ব্যাংক কর্পোরেট শাখার সিনিয়র অফিসার আব্দুল মজিদ সিদ্দিকী। পরে দুদকের টিম সরেজমিনে গোডাউনে গেলে সেখানে কোনো মালামাল পাওয়া যায়নি।
সূত্র জানায়, আসামিরা যোগসাজসে ব্যাংকের ওই টাকা আত্মসাত করেন। এ ঘটনায় জেলা দুর্নীতি দমন অফিসার আবু মো. আরিফ সিদ্দিকী বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলায় মেসার্স ট্রান্স ওশ্যান ফাইবার প্রসেস (বিডি) লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আমিন মোল্লা, গুদাম রক্ষক দিলীপ কুমার অধিকারী ও সিনিয়র অফিসার আব্দুল মজিদ সিদ্দিকীকে আসামি করা হয়। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ তদন্ত করে ১৯৯৬ সালে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মজিবর রহমান জানান, এই মামলার আসামি আব্দুল মজিদ সিদ্দিকী গত ৮ ফেব্রæয়ারি নারায়ণগঞ্জে গ্রেপ্তার হয়। পরে খুলনায় আনা হলে তিনি আদালতে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন না-মঞ্জুর করেন।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ