খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এবং খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদের বিরুদ্ধে ফের আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বিএমএ খুলনা জেলা শাখার সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম (আনারস প্রতীক) রিটানিং অফিসার ও খুলনা জেলা প্রশাসকের দপ্তরে লিখিতভাবে এই অভিযোগ করেন।
এর আগে গত ৬ অক্টোবর খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘণ ও প্রভাব খাটিয়ে কেন্দ্র পরিবর্তনের অভিযোগ করেন অপর স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা (চশমা প্রতীক)।
লিখিত অভিযোগে ডা. শেখ বাহারুল আলম বলেন, গত ৩ অক্টোবর খুলনা ক্লাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদের (মোটরসাইকেল মার্কা) সভাপতিত্বে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাউদ্দিন জুয়েলসহ সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ। উন্নয়নের নামে ওই মতবিনিময় সভা হলেও তারা প্রকাশ্যে প্রার্থীদের কাছে ভোট প্রার্থনা করেন। প্রার্থী হিসেবে ঐ সভায় সভাপতিত্ব করে শেখ হারুনুর রশিদ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। এছাড়া সিটি মেয়র ভোট বুঝে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
ডা. শেখ বাহারুল এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানান।
অপরদিকে গত ৬ অক্টোবর অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারাও একই অভিযোগ করেছিলেন। একই সঙ্গে তিনি খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে কারচুপির জন্য ৯টি কেন্দ্রের পরিবর্তে ১০টি কেন্দ্র স্থাপনের অভিযোগ করেন। তিনি জানান, ৯ টি ওয়ার্ডে ৯টি ভোট কেন্দ্রের বিষয় জানানো হলেও সিটি করপোরেশন ও রূপসা উপজেলার ভোটারদের জন্য আলাদা কেন্দ্রসহ ১০টি কেন্দ্র করা হয়েছে। সিটি মেয়রের ভোট বুঝে নেওয়ার হুমকি অনুযায়ী করপোরেশনের ৪২টি ভোটের জন্য আলাদা কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, স্বতন্ত্র পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী ডা. শেখ বাহারুল আলম খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি ও ক্রীড়া সংগঠক।
১০-১০
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ