জয়িতারা সমাজের বাঁধা পেরিয়ে অনন্য সফলতা সৃষ্টির প্রতীক- মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আজ বুধবার দুপুরে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পাঁচজন শ্রেষ্ঠ জয়িতার হাতে সম্মাননা স্মারক, নগদ অর্থ ও সনদপত্র তুলে দেন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নকে বেগবান করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালে জয়িতা কার্যক্রমের সুচনা করেন। জয়িতার কার্যক্রম বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ছড়িয়ে  পড়েছে এবং নারীবান্ধব একটি বিপণন নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে। জয়িতাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল পর্যায়ে নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে আত্মবিশ্বাস, উৎসাহ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, বৈষম্যহীন ও সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকার জয়িতাদের চিহ্নিত করে তাদেরকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সরকারের নারীবান্ধব উন্নয়ন ও নীতি-কৌশল বাস্তবায়নের ফলে গত একযুগে সরকারি, বেসরকারি আত্মকর্মসংস্থানসহ সকল ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য হারে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এসকল কর্মজীবী নারীদের সন্তানদের সুরক্ষা,  শিক্ষা ও পুষ্টি নিশ্চিত করতে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ মন্ত্রণালয় বর্তমানে ১১৯টি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র পরিচালনা করছে। বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নির্মিতব্য মহিলা কমপ্লেক্স ভবনে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। খুলনা জেলায় দশতলা বিশিষ্ট  বহুমুখী কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ হাসানুজ্জামান কল্লোল, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আবেদা আকতার ও খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ। খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী এতে সভাপতিত্ব করেন। ধন্যবাদ জানান খুলনার জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার।

অনুষ্ঠানে অনুভূতি ব্যক্ত করেন পোলিও রোগে আক্রান্ত হয়ে হাঁটার শক্তি হারানো শিক্ষা ও চাকুরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী সাতক্ষীরা জেলার জামিলা খাতুন। তিনি নিজের অদম্য ইচ্ছায় হামগুড়ি দিয়ে স্কুলে গিয়ে শিক্ষা গ্রহণ করে আজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। খুলনা বিভাগের সম্মাননা প্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ পাঁচ জয়িতা হলেন-অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরীতে যশোর জেলার সালমা ইসলাম, শিক্ষা ও চাকুরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী সাতক্ষীরা জেলার জামিলা খাতুন, সফল জননী ক্যাটাগরীতে নড়াইল জেলার আলেয়া বেগম, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু করা খুলনা জেলার সন্ধ্যা রানী বিশ্বাস এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় খুলনা জেলার এ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার।

অনুষ্ঠানে  মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, খুলনা বিভাগ ও জেলা  পর্যায়ের আধিকারিক ও বিভিন্ন নারী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *