খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, দেশের মানুষকে টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সরকার ২৬ ফেব্রæয়ারি একদিনে দেশের এক কোটি জনগোষ্ঠিকে ভ্যাকসিন প্রদানের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
করোনা মোকাবেলায় সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। এই টিকা প্রদান কার্যক্রমে মেয়র সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। নগর ভবন সম্মেলনকক্ষে ২৬ ফেব্রæয়ারি গণটিকা কর্মসূচি বাস্তবায়ন উপলক্ষে উদ্বুদ্ধকরণ ও পরিকল্পনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
সভায় জানানো হয়, আগামী ২৬ ফেব্রæয়ারি খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ডে এক লাখ ৩৯ হাজার পাঁচশত জনকে করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কেসিসির ৩১টি ওয়ার্ডের দুইশত ৮৯ টি কেন্দ্রে পাঁচজন কর্মীর নয়টি করে দল কাজ করবে। এপর্যন্ত কেসিসি এলাকায় পাঁচ লাখ ৫৩ হাজার আটশত ১৮ জন প্রথম ডোজ, চার লাখ ৪০ হাজার ছয়শত ৬৯ জন দ্বিতীয় ডোজ এবং ৫২ হাজার নয়শত ৯৪ জনকে বুস্টার ডোজ প্রদান করা হয়েছে।
সভায় আরও জানানো হয়, ইতিমধ্যে টিকা গ্রহণ করেনি এরকম জনগোষ্ঠীর অন্তত এক কোটি মানুষকে বাছাই করে টিকার আওতায় আনা হবে। এর সাথে বিশেষ জনগোষ্ঠী, কারখানার শ্রমিক, মার্কেট, হোটেল-রেস্টুরেন্টের কর্মচারী, নৌকা-জাহাজে বসবাসকারী ভাসমান জনগোষ্ঠী, বেদে বহর, ইটভাটা শ্রমিক ও অন্যান্য ভাসমান জনগোষ্ঠীকে টিকা দেওয়া পরিকল্পনা রয়েছে। উল্লেখ্য, ২৬ ফেব্রæয়ারি টিকা নিতে কোন ধরণের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে না। ঐ দিন দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজ বন্ধ থাকবে।
সভায় কেসিসির প্রধান নির্বাহী অফিসার লস্কর তাজুল ইসলাম, সচিব মোঃ আজমুল হক, সিভিল সার্জন ডাঃ সুজাত আহমেদ, কেএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ ফজলুর রহমান, খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডাঃ মোঃ মেহেদী নেওয়াজ, প্যানেল মেয়র এ্যাডভোকেট মেমরী সুফিয়া রহমান শুনু, কেসিসির প্রধান স্বাস্থ্য অফিসার স্বপন কুমার হালদারসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, সরকারি দপ্তরের কর্মচারি ও এনজিও প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
পরে মেয়র নগর ভবন চত্বরে একশত ২০জন সুবিধাবঞ্চিত শিশুর মাঝে ফ্যামিলি কিট বিতরণ করেন। এসময় কেসিসির সচিব ও সমাজসেবা দপ্তরের আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ