অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব নির্মূল, অপুষ্টিজনিত শিশু মৃত্যু প্রতিরোধ এবং শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি খুলনায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পালন করা হবে।
এ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা সামছুর রহমান রোডস্থ স্কুল হেলথ ক্লিনিকের সম্মেলনকক্ষে স্থানীসাংবাদিকদের ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ।
কর্মশালায় জানানো হয়, এ বছর খুলনা জেলার নয়টি উপজেলার এবং দুটি পৌর সভাসহ ১ হাজার ৭১৮টি কেন্দ্রে ১ লাখ ৮৭ হাজার ১৬৪ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ২২ হাজার ৯৩৪ এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ১ লাখ ৬৪ হাজার ২৩০জন। এছাড়া সিটি করপোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ডের ৭১০টি কেন্দ্রে ১ লাখ ৯ হাজার ৮৪১ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ১২ হাজার ৭০৪ জন এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ৯৭ হাজার ১৩৭জন।
কর্মশালায় সিভিল সার্জন জানান, সকাল ৮টা থেকে একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো এবং একই সঙ্গে শিশুদের শালদুধ খাওয়ানোসহ স্বাস্থ্যবার্তাসমূহ প্রচার করা হবে।
তিনি বলেন, ৬ মাস থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত যেহেতু শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো যায় না তাই এ সময়টাতে সম্পূরক ভিটামিন হিসেবে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়ে থাকে। এতে করে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। তিনি জনজীবনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এমন কোনো সংবাদ পরিবেশন না করা এবং জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার জন্য সাংবাদিকদের সহায়তা কামনা করেন।
তিনি জানান, ১০জন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর মধ্যে সাতজন মৃত্যুবরণ করেছে। সিভিল সার্জন নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধে কাঁচা রস পান না করার পরার্মশ দেন।
কর্মশালায় আরও জানানো হয়, ২০ ফেব্রুয়ারি খুলনায় ৬-১১ মাস বয়সী সকল শিশুকে ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লাখ আইইউ) এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুকে ১টি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২ লাখ আইইউ) খাওয়ানো হবে।
কর্মশালায় কেসিসি’র প্রধান স্বাস্থ্য অফিসার ডা. স্বপন কুমার হালদার, খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. মেহেদী হাসান, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. এএসএম কামাল হোসেন, উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় খুলনায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।








সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ