আজ ১৩ ফেব্রুয়ারী সকাল সাড়ে ১০ টায় ৭নং ওয়ার্ড, খালিশপুর কাউন্সিলর অফিসের মিলনায়তন কক্ষে, আমেরিকান কর্নার’র সহযোগীতায় এবং পরিবর্তন-খুলনার আয়োজনে পলিথিন ও প্লাষ্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং জনসচেতনতা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উৎপাদন, বিপনন, ব্যবহারনিষিদ্ধ; অথচ সবার হাতে হাতে পলিথিন। নিত্যদিনের বাজার-সদাই মানেই পলিথিনের ব্যবহার। নিষিদ্ধ পলিথিনে মারাত্মকবিপর্যয় ঘটেছে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের পরিবেশের। ঢাকা শহর এখন বিশ্বের এক নম্বর বায়ূ দুষণের শহর। দোকানে আইন শৃংখলাবা হিনীর চোখের সামনে পলিথিনের স্তুপ, আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতেও শোভাপায় পলিথিনের ব্যাগ। অথচ আইন করে সর্বনাশা পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আইনের কঠোর ব্যবহারে ২০০২-৩ সালে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ হয়েছিল।
ক্ষতিকর জানলেও দিন দিন এই ব্যাগের ব্যবহার বেড়েই চলছে, যা পরিবেশকে ঠেলে দিচ্ছে হুমকির দিকে। এ বিষয়টি সবাই জানলেও কার্যত তেমন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। ২০০২-৩সালে পলিথিনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে এর উৎপাদন ও বিপনন প্রায় বন্ধহয়ে এসেছিল।
মূলত বিশ্বে প্রতি মিনিটে ১০ লাখেরও বেশি এবং বছরে প্রায় ৫ লাখ কোটি পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করা হয়। এর মাত্র ১ শতাংশ পুনর্ব্যবহারের জন্য প্রক্রিয়াজাত করা হয় এবং সমুদ্রে ফেলা হয় ১০ শতাংশ। এসব পলিব্যাগ একশ’ বছরেও পচেনা ও মাটির সঙ্গে মিশেনা, যার ক্ষতিকর প্রভাবের শিকার মানুষ ছাড়াও বিপুল সংখ্যক পাখি, সব ধরনের ডাঙার জীব ও জলজ প্রাণী। পলিথিন এমন একটি উপাদানে তৈরি, যা পরিবেশ সুরক্ষার জন্য মোটেই উপযোগী নয়। তাই নিজেদের স্বার্থে এবং পরিবেশের সুরক্ষায় ক্ষতিকর পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। কারণ এগুলো অতি প্রয়োজনীয় পানি এবং মাটি মাত্মক ভাবে দূষণ করছে। বিভিন্ন ভাবে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে ক্যানসারের সৃষ্টি করছে। এর বিকল্প হিসেবে পাটের সোনালি ব্যাগের ব্যবহার বাড়াতে হবে। সকলের সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৭নং ওয়ার্ড’র কাউন্সিলর শেখ খালিদ আহমেদ; শাহিনজামাল পন, মো: জিয়াউর রহমান, সা: সম্পাদক, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ; শেখ বাপ্পী, যুবলীগের যুগ্ন-আহবায়ক, ৭নং ওয়ার্ড; মাহবুব আলম বাদশা, প্রধান নির্বাহী, ছায়াবৃক্ষ; মিনা আজিজুর রহমান, সভাপতি, সিএসও, খুলনা; মো: মোশারাফ হোসেন, নাগরিক ফোরাম; মো: রুহুল আমিন, সভাপতি, চিত্রালি বাজার; মো: ফুলমিয়া সাধারণ সম্পাদক, চিত্রালি বাজার; তানজিম খান, সমন্বয়কারী, আমেরিকান কর্নার, খুলনা; শরিফুল ইসলাম সেলিম, সা: সম্পাদক, হিউম্যানিটি ওয়াচ; মো: আব্দুর রাজ্জাক, সহ-সভাপতি, নাগরিক ফোরাম, খুলনা; শামিম আশরাফ শেলী, বার্তা সম্পাদক, খুলনার অর্থনীতি; সুলতানা রাজিয়া, সহকারি শিক্ষক, উত্তর কাশিপুর স:প্রাথ: বিদ্যালয়, খুলনা; শারমিন সুলতানা, শিক্ষক, উত্তর কাশিপুর স: প্রাথ: বিদ্যালয়, খুলনা; মো: ফারূখ হোসেন, ফিল্ডসুপারভাইজার, এ্যাডামস;সালমা বেগম, ক্লাস্টার নেত্রী, LIUPCP; অজন্তা দাস, সভাপতি, পরিবর্তন-খুলনা; এম. নাজমুলআজম ডেভিড, নির্বাহী পরিচালক, পরিবর্তন-খুলনা এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনীধিবৃন্দ।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ