বাংলাদেশ তথা সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশের ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ প্রখ্যাত রসায়নবিদ আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়’র ১৫৬ তম জন্মবার্ষিকী ২ আগস্ট পৈতৃক বাসভূমি খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার রাড়ুলী গ্রামে উদযাপিত হয়।
১৮৬১ সালের ২ আগস্ট বাংলাদেশের এই নিভৃতগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এই বিজ্ঞানী। ১৯৪৪ সালে ৮৩ বছর বয়সে তাঁর মহাপ্রয়ান ঘটে।
দিনটি উদযাপন উপলক্ষে পাইকগাছা উপজেলা প্রশাসন ও রাড়ুলী ইউনিয়ন পরিষদের ব্যবস্থাপনায় বিজ্ঞানীর বসতবাড়িতে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচীর আয়োজন করে খুলনা জেলা প্রশাসন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ এবং সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ আমিন উল আহসান। আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের প্রতিকৃতিতে মাল্যদানের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মকান্ড শুরু হয়। পরে তাঁর কর্মময় জীবন ও জীবন দর্শনের উপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
বিজ্ঞানীর জীবন দর্শন নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে প্রধান অতিথি বলেন,আচার্য পিসি রায় কেবল একজন প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ছিলেন না, তিনি ছিলেন এক মহান ও নিস্বার্থ দানবীর। তিনি তাঁর জীবদ্দসায় বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। তাঁর উদ্যোগেই এদেশে প্রথম গড়ে উঠে সমবায় ব্যাংক। তিনি এদেশের কৃষিজীবী ও সাধারণ মানুষের জীবন-মান উন্নয়নে সারাজীবন কাজ করে গেছেন। তাই তাঁর শিক্ষা ও আদর্শকে আমাদের ধারন করতে হবে। নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স.ম. বাবর আলী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ শাহাদাত হোসেন বাচ্চু, বাড়ুলী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ গোলদার এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজীব খান সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। স্বাগত বক্তৃতা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফকরুল হাসান।
বিশেষ অতিথিরা পিসি রায়ের সম্পর্কে বলেন, উপমহাদেশ ছাড়িয়ে সারাবিশ্বে খ্যাতি পাওয়া এই বিজ্ঞানীর জীবন যাপন ছিল অতি সাধারণ। রসায়ন শাস্ত্রে তাঁর অভূতপূর্ব আবিষ্কার বিজ্ঞান চর্চায় অসামান্য অবদান রেখে চলছে। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক উদারচেতা এক মহামানব। অতিথিরা বোয়ালিয়া ব্রিজ কে পিসি রায় ব্রিজ এবং নির্মিতব্য পাইকগাছা কৃষি কলেজকে পিসি রায় কৃষি কলেজ নাম করণের দাবী জানান। পরে রচনা, বিতর্ক ও কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ