কর আদায়ে অধিক সচ্ছতা প্রতিষ্ঠিত হলে সাধারণ মানুষ কর প্রদানে উৎসাহী হবে

কর ন্যায্যতা বিষয়ক ‘তৃণমূল ক্যাম্পেইনারদের জন্য অবহিতকরণ কর্মশালা’ গতকাল সুপ্র(সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান) খুলনা জেলা কমিটির উদ্যোগে বেসরকারী সংস্থা পরিবর্তন’র সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তারা করন্যায্যতা সম্পর্কে বলেন, সঠিক নিয়মে যদি কর আদায় করা হয় তবে বর্তমান আদায়ের চেয়ে দুইশ’ গুন বেশী কর আদায় করা সম্ভব। প্রথমত, সিলিং বাস্তবধর্মী না হওয়ায় সাধারণ মানুষ কর ফাকি দেয়। যদি আয় ও ব্যয়’র সাথে সামঞ্জস্য রেখে সিলিং করা হয় তবে অধিকহারে মানুষ কর দেবে।

বক্তারা বলেন, আয় করের বিশেষ কিছু ক্ষেত্র আছে যেখান থেকে প্রকৃত হারে কর আদায় করা হয় না।এমন ব্যক্তিও আছেন যার কর হওয়া উচিৎ ১০ কোটি টাকা অথচ তিনি কর দেন মাত্র দুই হাজার টাকা। কি ভাবে এটা হয় তা ব্যাখ্যা করে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে কর অদায়ে প্রতিষ্ঠিত আছে তে-ভাগা ব্যবস্থা, অর্থাৎ সেই দুর্নীতি। করদাতার প্রকৃত প্রদেয় করের সামান্য এক ভাগ রাষ্ট্র পায়, এক ভাগ পায় অফিস আর বাকিটা করদাতা নিজেই পায়! বক্তারা বলেন,এ অবস্থায় বুলবুলিতে ধান খেয়ে যায় খাজনা হবে কিসে?

বক্তারা বলেন, একটা গোটা অঠিসে কর্মরত ২৫০ জন আয়কর কর্মীর মধ্যে পাঁচ জনও সৎ কর্মী নেই, ফলে সৎকর্মীর অভাবে প্রকৃত কর সম্পূর্ণ আদায় কারা সম্ভব হয় না। এ অবস্থায় কর আদায়ে অধিক সচ্ছতা অর্থাৎ কর বিভাগের দুর্নীতি বন্ধ করা সম্ভব হলে আরও বিপুল সংখ্যক মানুষ কর দিতে উৎসাহী হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রবীণ ও অভিজ্ঞ আয়কর উপদেষ্টা এ্যাডঃ মনিরুর হুদা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আয়কর আইনজীবী নীল কমল বিশ্বাস এবং নির্বাহী পরিচালক, হিউম্যানিটি ওয়াচ, হাসান মেহেদী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুপ্র জেলা কমিটির সম্পাদক এম.নাজমুল আজম ডেভিড।

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *