কেসিসি’র বর্জ্য অপসারণ ব্যবস্থাপনা এখন নগরবাসির চরম বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। নগরীর বিভিন্ন সড়কপার্শ্বে ময়লার ডিপো তৈরী হওয়ায় দুর্গন্ধে পথচারী ও এলাকাবাসির চলাচল ও বসবাস অসম্ভব হয়ে পড়ছে, অভিযোগ নগরবাসির।
সুত্রমতে, কেসিসি’র উদ্যোগে বাড়ি বাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে নগরীর বিভিন্ন সড়কপার্শ্বের প্রায় ৪৫টি স্থানে সেকেন্ডারী ট্রান্সফার ষ্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে পুরো নগরী এখন উন্মুক্ত বর্জ্যের রাজ্যে পরিণত হয়েছে। এমনকি নগরীর সৌন্দর্য বর্ধনে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক দ্বীপ সৌন্দর্য বৃক্ষ ও পুস্প বৃক্ষে সাজানো হয়েছে, আর তার পাশেই থরে থরে সাজিয়ে রাখা হচ্ছে বর্জ্যের স্তুপ! যা আসলে চরম অব্যস্থাপনার নিদর্শন বা নাগরীকদের সাথে তামাসা বলে মনে করে নগরবাসি।
নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও আবাসিক এলাকায় এ ধরনের বর্জ্য ডিপো পুরো নগরীকেই বর্জ্য নগরীতে পরিণত করেছে, এ সকল বর্জ্যের উৎকট গন্ধে অতিষ্ঠ নগরবাসির দাবি অতি দ্রুত এ সমস্যার অবসান হোক।
তবে কেসিসি’র বর্জ্য অপসারণকারী কঞ্জার্ভেন্সি বিভাগের একটি সূত্রমতে, বর্তমান ব্যবস্থাপনা একটি সাময়ীক ব্যবস্থা। আধুনিক স্বাস্থ্য সম্মত বর্জ্য অপসারণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ইতোমধ্যেই স্থায়ী সেকেন্ডারী বর্জ্য ট্রান্সফার ষ্টেশন নির্মান প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় নগরীর সুবিধাজনক স্থানে মোট ১৩টি বর্জ্য ষ্টেশন নির্মান করা হবে যার আটটি তৈরী হবে আরবান হেল্থ এনভায়রনমেন্ট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় এবং বাকি চারটি তৈরী হবে কেসিসি’র নিজস্ব তত্ত্বাবধানে।
সূত্রটি আরও জানায়, ইতোমধ্যেই সাড়ে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে আরবান হেল্থ এনভায়রনমেন্ট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’র আওতায় নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পাঁচটি স্থায়ী সেকেন্ডারী বর্জ্য ট্রান্সফার ষ্টেশন নির্মানের কাজ এগিয়ে চলেছে, পর্যায়ক্রমে বাকিগুলির নির্মানও কাজও সম্পন্ন হবে।
এ ষ্টেশনগুলি হবে তিনতলা সমমানের উচ্চতা ও বহু চেম্বার বিশিষ্ট অত্যাধুনিক বর্জ্য ষ্টেশন। এ সকল বর্জ্য ষ্টেশন নির্মান সম্পন্ন হলে নগরবাসির বর্জ্য সংক্রান্ত সকল দুর্ভোগ দূরিভুত হবে বলে জানিয়েছে সূত্রটি।








সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ