আজ ১ অক্টোবর, সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে প্রবীণ দিবস। এ বছরের প্রতিপাদ্য ” থাকব না কেউ পেছনে গড়বো সমাজ এক সনে ” স্লোগানকে সামনে রেখে সারাদেশের ন্যায় খুলনায় সমাজসেবা অধিদপ্তর ও প্রবীণ হিতৈষী সংঘের আয়োজনে ও বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা পরিবর্তন-খুলনা, দেশ, রূপসা’র অংশগ্রহনে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উদ্যাপিত হয়।
সকাল ৮.৩০ মিনিটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি আলহাজ মিজানুর রহমান মিজান। খুলনা সার্কিট হাউজ থেকে বর্ণাঢ্য র্যালী শুরু হয়ে নগরীর সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় সার্কিট হাউজে ময়দানে গিয়ে শেষ হয়।
এ উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৯টায় সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা-২ আসন’র সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান । সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রবীণ হিতৈষী সংঘের সভাপতি ডা: মুরীদ আলী। তিনি বলেন, ‘দেশে প্রবীণদের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। প্রবীণদের সার্বিক সহযোগিতায় ও কল্যাণে বর্তমান সরকার বয়ষ্ক ভাতা বৃদ্ধি করেছে। আমরা আগামীতে খুলনায় একটি প্রবীণ হাসপাতাল ও বৃদ্ধাশ্রম নির্মান করার পরিকল্পনা করছি। আপনারা সকলে আমাদের সহযোগিতা করবেন।’
প্রধান অতিথি আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান বলেন, প্রবীণরা সমাজের সব থেকে সম্মানি ব্যক্তি, এই দৃষ্টিতে তাদের সবাইকে দেখতে হবে। বর্তমান সরকার প্রবীণদের সহযোগিতায় সদা প্রস্তুত। ছোটবেলায় বাবা-মা এবং পরিবারের সদস্যরা যেমন আমাদের লালন পালন করেছেন ঠিক তেমনি ভাবেই আমাদের প্রবীণদের সেবা কতে হবে।
তিনি বলেন, প্রবীণদের নিয়ে এ ধরণের অনুষ্ঠান বছরে একবার না মাঝে মাঝেই হওয়া উচিত। তিনি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে ও প্রবীণদের দীর্ঘায়ু ও সু-স্বাস্থ্য কামনা করেন। বিশেষ অতিথি, উপ-পরিচালক সমাজসেবা অধিদপ্তর, শেখ আব্দুল হামিদ সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন আজ যারা প্রবীণ, ৪২ বছর আগে তারা নবীণ ছিল। তাদের সংগ্রামে আজ আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি এবং তাদের অবদানের কারণে আজ আমরা সুন্দরভাবে বেঁচে আছি। যদি কেহ ধর্মকে বিশ্বাস করে, বাবা ও মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের বেহেশত, তাহলে বাবা-মা ও প্রবীদের অবশ্যই সেবা করা উচিত।
তিনি আরো বলেন, আমরা যদি বৃদ্ধ বাবা-মায়ের সেবা করি তাহলে আর বৃদ্ধাশ্রমের প্রয়োজন হবেনা। আজ খেকে আমরা পরিবারের সকলে মিলেমিশে প্রবীণদের সেবা করবো। তিনি প্রবীণদের সু-স্বাস্থ্য কামনা করেন। বিশেষ অতিথি, উপ-পরিচালক জেডিএল, মো: হাবিবুর রহমান বলেন প্রবীণরা আজ আমাদের সমাজের বোঝা নয়। প্রবীণদের সেবা করলে আমাদের গুরুজনদের সেবা করা হয়, আমাদের বাবা-মায়ের সেবা করা হয়। নবীণদের অবশ্যই প্রবীণদের সম্মান দিতে হবে, সেবা করতে হবে, বিপদে সাহায্য করতে হবে। তাহলে জীবনের শেষ বয়সে প্রবীণদের আর বৃদ্ধাশ্রমের প্রয়োজন হবেনা। তিনি প্রবীণদের সহযোগিতা করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।








সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ