যুদ্ধাপরাধী আলবদর প্রধান রাজাকার মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির রায়ের পর খুলনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক শেখ সোহেলদের পৈত্রিক বাড়ি লক্ষ্য করে গুলির ঘটনা ঘটেছে।
সোনাডাঙ্গা থানার ওসি মারুফ আহম্মেদ জানান, বুধবার রাত ১১টার দিকে সন্ত্রাসীরা দুটি মোটরসাইকেলে করে এসে নগরীর শেরে বাংলা রোডের ওই বাসার দিকে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনার সময় শেখ সোহেল খুলনায় থাকলেও বাড়িতে ছিলেন না। বাড়ির প্রধান ফটক ও কক্ষের দেওয়ালে চারটি গুলির চিহ্ন দেখা যায়। তবে এতে কেউ আহত হননি।
এ ঘটনায় ওই বাসার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ওসি জানান।
তিনি বলেন, “বাড়ির প্রধান ফটকের বিপরীতে একটি গলি থেকে সন্ত্রাসীরা পাঁচ রাউন্ড পিস্তলের গুলি ছোড়ে।”
খুলনা মহানগর যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক হাফেজ মো. শামীম জানান, রাতে দুটি মোটরসাইকেলে করে পাঁচজন মুখোশধারী সন্ত্রাসী এই ঘটনা ঘটায়।
“একটি গুলি বাড়ির নিচতলার যে অফিস কক্ষে লাগে। আরেকটি গুলি লাগে বাড়ির ভিতরে দেয়ালে। অন্য দুটি গুলি বাড়ির মেইন গেটে লাগে এবং একটি গুলি অবিস্ফোরিত অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করে।”
যুবলীগ নেতা শামীম জানান, বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টেস্ট সামনে রেখে নগরীর সৌন্দর্য্য বর্ধন ও আলোকসজ্জার কাজ তদারক করতে ওই সময় বাড়ির বাইরে ছিলেন বিসিবি পরিচালক শেখ সোহেল। বাড়ির অন্য সদস্যরাও অক্ষত আছেন।
রাতে খবর পেয়েই খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার নিবাস চন্দ্র মাঝি, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) আব্দুল মান্নান, সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার মোল্লা আজাদ হোসেনসহ পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান।
আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা গভীর রাত পর্যন্ত ওই বাড়ির সামনে অবস্থান করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ভাই শেখ আবু নাসেরের এই বাড়িতে বর্তমানে শেখ সোহেল ও তার ভাই শেখ রুবেলই থাকেন।
শেখ সোহেল বলেন, “স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীরা সবসময় আমাদের টার্গেট করে রেখেছে। তারই ধারাবাহিকতায় এ গুলিবর্ষণের ঘটনা।”
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ঘটনায় শেখ সোহেলের বাবা শেখ আবু নাসেরও নিহত হন।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ