জনস্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেছেন, জনস্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, মানুষ সুস্থ্য ভাবে বাঁচার জন্য খাবার গ্রহণ করে। কিন্তু সেই খাবার যখন বেঁচে থাকার অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় তখন মানুষের দুর্ভোগের কোন সীমা থাকে না। বিশেষ করে দরিদ্র মানুষ, শরীরই যাদের আয়ের পুঁজি তারা যখন ভেজাল খাবার খেয়েঅসুস্থ হন তখন তাদের পুরো পরিবারটাই হুমকির মধ্যে পড়ে। সে জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা অপরিহার্য্য হয়ে পড়েছে।

সিটি মেয়র আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় নগর ভবনে নগরীর বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরার মালিক ও কর্মচারীদের ”গুড হাইজিন প্রাকটিস এন্ড ফুড সেফটি” শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সকল কথা বলেন। জাতিসংঘের ফুড এন্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং কিংডম অব দি নেদারল্যান্ডস’র সহযোগিতায় কেসিসি’র ভেটেরিনারী বিভাগ এ কর্মশালার আয়োজন করে।

সিটি মেয়র কর্মশালায় আগত হোটেল-রেস্তোরার মালিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, খাবার বিক্রিতে অনেকেই তাদের মেধা ও পরিকল্পনার সমন্বয়ে মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন। এটা ব্যয়বহুল নয়। শুধু অভ্যাস ও মানসিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে। তিনি দেশের বিখ্যাত হোটেল রেস্তোরার উদাহরণ টেনে বলেন, গ্রাহককে অতিথি হিসেবে গ্রহণ করে আপ্যায়ন করতে হবে। তাহলেই সুনাম অর্জন করা সহজ হবে। সিটি মেয়র হোটেল রেস্তোরার উচ্ছিষ্ট খাদ্য ও বর্জ্য ড্রেন বা রাস্তায় না ফেলে নির্দিষ্টপাত্রে জমা রেখে নিকটস্থ ডাস্টবিনে ফেলে শহরের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে কেসিসিকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।

কেসিসি’র সচিব এম ইদ্রিস সিদ্দিকী’র সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খাদ্য নিরপত্তা বিষয়ে রাষ্ট্রীয় আইনে অপরাধ, দন্ড ও জরিমানার বিষয়ে ব্যাখ্যা করেন কেসিসি’র নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এরাদুল হক। কর্মশালার অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিনিয়র ভেটেরিনারী সার্জন ডা. মোঃ রেজাউল করিম। অন্যান্যের মধ্যে কেসিসি’র মেডিকেল অফিসার ডা. স্বপন কুমার হালদার, ভেটেরিনারী সার্জন ডা. পেরুগোপাল, বাংলাদেশ হোটেল-রেস্তোরা মালিক সমিতি-খুলনা শাখার সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালায় হোটেল-রেস্তোরা ব্যবসা পরিচালনার জন্য কেসিসি ও সিভিল সার্জন অফিস থেকে লাইসেন্স গ্রহণ, কর্মীদের পোষাক সহ খাদ্যদ্রব্য তৈরী ও সংরক্ষণের স্থানসমূহের পরিচ্ছন্নতা এবং খাদ্যের বিশুদ্ধতার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

facebooktwittergoogle_plusredditpinterestlinkedinmailby feather
ট্যাগসমূহঃ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*
*

Current ye@r *