সহস্রাব্দের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘ নিরন্তর সহযোগিতা প্রদান করছে। এ ক্ষেত্রে সার্বিক উন্নয়নের জন্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে শক্তিশালী করণের বিকল্প নেই।
গতকাল খুলনা সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে জাতীসংঘ দিবস উপলক্ষ্যেআয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ব্রাক ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. তোফায়েল আহমেদ। তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের সহায়তায় স্থানীয় সরকার শক্তিশালী করণের সুযোগ রয়েছে। সে সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। তিনি টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার স্থানীয় প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি অফিসারদের সমন্বিত কর্মসূচী বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
খুলনায় জাতিসংঘ দিবস পালন উপলক্ষ্যেসকাল ১০টায় কেসিসি মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জাতিসংঘ পার্কে বেলুন উড়িয়ে দিবসটির উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র জাতীয় পতাকা এবং জাতিসংঘের এ্যাসিসট্যান্ট কান্ট্রি ডিরেক্টর কে এম মোর্শেদ জাতিসংঘের পতাকা উত্তোলন করেন।
পরে জাতিসংঘ পার্ক থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়।র্যালীটি নগরীর শান্তিধাম এলাকার সড়ক প্রদক্ষিণ করে মূল অনুষ্ঠানস্থল হোটেল রয়্যাল’র সম্মুখে গিয়ে শেষ হয়। র্যালীতে ব্রাক ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. তোফায়েল আহমেদ, খুলনার জেলা প্রশাসক মোঃ আনিস মাহমুদ, নাগরিক ফোরাম-খুলনার চেয়ারপার্সন শেখ আব্দুল কাইয়ুম সহ কেসিসি’র কাউন্সিলর, সংরক্ষিআসনের কাউন্সিলর, অফিসারবৃন্দ, জাতিসংঘের সংস্থাসমূহের কর্মকর্তা, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধি সহ নগরীর গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
র্যালী শেষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র বলেন, জাতিসংঘ বাংলাদেশের দারিদ্র দূরীকরণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানবাধিকার, পরিবেশ উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ সহ দেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছে। দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে জাতিসংঘ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তিনি বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং স্থানীয় সরকার কাঠামোকে শক্তিশালী করার জন্য জাতিসংঘ সার্বিক সহযোগিতা করছে। সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ এবং তা অর্জনের জন্যও জাতিসংঘ আমাদের সার্বিক সহযোগিতা করছে। তিনি আরো বলেন, বিশ্ববাসীকে যুদ্ধের অভিশাপ থেকে মুক্ত করার জন্য জাতিসংঘের জন্ম হলেও কালের বিবর্তনে মানবকল্যাণে তাদের কর্মপরিধির অনেক সম্প্রসারণ ঘটেছে। বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে জাতিসংঘের শান্তিমিশনে অংশগ্রহণের সুযোগদানের মাধ্যমে বিশ্ব শান্তিপ্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশকে অবদান রাখার সুযোগ এবং ইউনিসেফ কর্তৃক সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষণার মাধ্যমে বিশ্বসভায় বাংলাদেশের মর্যাদা উন্নীত করেছে। তিনি বলেন, জাতিসংঘ সমগ্র মানবজাতিকে একটি দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাড় করিয়ে বিশ্ব শান্তিপ্রতিষ্ঠায় সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ইউএনডিপি’র বাংলাদেশস্থ এ্যাসিসট্যান্ট কান্ট্রি ডিরেক্টর কে এ এম মোর্শেদ বলেন, বিশ্বে উন্নয়ন বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যেজাতিসংঘ স্বল্পোন্নত দেশগুলিকে এগিয়ে নিতে চেষ্টা করে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান সহ অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি জাতিসংঘ বাংলাদেশের মানবাধিকার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী অফিসারমোঃ আব্দুল হান্নান বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনার জেলা প্রশাসক আনিস মাহমুদ।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ