শেষ ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ৫-০ ম্যাচে সিরিজ জিতে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াস করলো বাঙ্গলাদেশ।এর আগে ৩-০ ব্যবধানে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ জেতে স্বাগতিকরা।
সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নামে জিম্বাবুয়ে। মাত্র ৩০ ওভারে ১২৮ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। জবাবে ২৪ ওভার ৩ বলে ৫ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
মাত্র ২৮ রানে বিদায় নেন বাংলাদেশের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও এনামুল হক। তামিমকে আউট করেন পানিয়াঙ্গারা। এরপর এনামুলকে চাতারা।
অভিষেক ম্যাচে উইকেটে থিতু হয়েও ২০ রানে আউট হন সৌম্য সরকার। এর পর শূন্য রানে সাকিব ফিরে গেলে কিছুটা চাপে পড়ে স্বাগতিকরা।
এরপর মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন মাহমুদুল্লাহ।এরপর মুশফিক বিদায় নিলে জয়ের জন্য তখনও স্বাগতিকদের প্রয়োজন ছিল পাঁচ উইকেটে ৩৬ রান।
সাব্বির রহমানকে নিয়ে বাকি কাজ সারেন মাহমুদুল্লাহ। মাহমুদুল্লাহর ৫৫ বলে অপরাজিত ৫১ রানের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ১৫৩ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন সাব্বির।
জিম্বাবুয়ের চাতারা ৪৪ রানে নেন ৩ উইকেট । পানিয়াঙ্গারা ৪৯ রানে নেন ২ উইকেট।
এক সময়ে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ৯৫ রান। অর্ধশতকে পৌঁছানোর পরপরই হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে বোল্ড করে ৭৯ রানের জুটি ভাঙেন জুবায়ের হোসেন।
মাত্র ৩৩ রান যোগ করতে শেষ ৯ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। প্রথম ৩ ওভারে ২৩ রান দেয়া সাকিব দ্রুত ব্রেন্ডন টেইলর ও সিবান্দাকে বিদায় করে অতিথিদের চাপে ফেলেন। লেগস্পিনার জুবায়ের টিমিসেন মারুমকে বোল্ড করে নিজের দ্বিতীয় উইকেট নেন ।
সিরিজে দুটি অর্ধশতক পাওয়া সলোমন মায়ারকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে নিজের প্রথম ওয়ানডে উইকেট নেন অভিষিক্ত তাইজুল। সেই ওভারের শেষ বলে বোল্ড করেন টিনাশে পানিয়াঙ্গারাকে এই বাঁহাতি স্পিনার।
তার পরের ওভারের প্রথম বলে জন নিউম্বুকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান তাইজুল। পরের বলে টেন্ডাই চাতারাকে বোল্ড করে গড়েন ইতিহাস। বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডে অভিষেকে হ্যাটট্রিক করার কৃতিত্ব অর্জন করেন এই বাঁহাতি স্পিনার।
পরের ওভারেই টাফাজওয়া কামুনগোজিকে বোল্ড করে অতিথিদের ইনিংস গুটিয়ে দেন সাকিব। সাকিব ৩ উইকেট নেন ৩০ রানে। মাত্র ১১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে তাইজুলই বাংলাদেশের সেরা বোলার।
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ