তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের ফলে বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৫৭ হাজার ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করছেন এবং পঙ্গুত্ববরণ করছেন প্রায় তিনলাখ ৮২ হাজার । বাংলাদেশে প্রতিবছর আট হাজার কোটি শলাকা সিগারেট এবং পাঁচ হাজার কোটি শলাকা বিড়ি উৎপাদিত হচ্ছে।
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন বাস্তবায়ন সংক্রান্ত একটি কর্মশালায় এই তথ্য উপস্থাপন করা হয়। খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য বিভাগ আজ স্কুল হেলথ্ ক্লিনিকে এই কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালার প্রধান অতিথি বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আব্দুস সামাদ বলেন, ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাবের দিকগুলো গণমাধ্যমে আরো বেশি প্রচার হওয়া প্রয়োজন। সাথে সাথে তামাকের উৎপাদন কমানোর নীতিমালা তৈরি এবং সর্বোপরি আইনের প্রয়োগের মাধ্যমে তামাকজাত দ্রব্যের বিপণন কমানো সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, ধূমপান একেবারে বর্জন অর্থ মাদকের ব্যবহার কমে যাওয়া।
স্বাস্থ্য বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডাঃ মো. আব্দুল হাই’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন জেলা প্রশাসক আনিস মাহমুদ ও সিভিল সার্জন ডাঃ মো. ইয়াছিন আলী সরদার। ধূমপান নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ে তথ্য উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব নাসরিন মুক্তি এবং ধূমপানের কুফল বিষয়ে তথ্য উপস্থাপন করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টেকনিক্যাল অফিসার ডাঃ সৈয়দ মাহফুজুল হক।
কর্মশালায় আরও জানান হয়, সার্কভূক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে বিড়ি সিগারেটের দাম সবচেয়ে কম। এছাড়া তামাকজাত দ্রব্য উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষ পাঁচটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি। বাংলাদেশে দুই কোটি ১৩ লাখ পুরুষ ও সাত লাখ মহিলা ধূমপান করে থাকেন। এছাড়া এক কোটি ২৫ লাখ পুরুষ ও এক কোটি ৩৪ লাখ মহিলা চর্বনযোগ্য তামাক ব্যবহার করেন। এছাড়া ধূমপানের কারণে কর্মক্ষেত্রে এক কোটি ১৫ লাখ মানুষ পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
বাংলাদেশে তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পাবলিক প্লেসে ধূমপান, ১৮ বছরের নীচের বয়সীদের কাছে বিড়ি সিগারেট বিক্রি এবং বিজ্ঞাপন প্রচার আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ