ভোক্তা অধিকার সংরণ অধিদপ্তর পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে গতকাল নগরীর খাদিজা নার্সিং হোম সিলগালা ও সেন্টমার্টিন প্যাথলজি কে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সকাল ১১ টায় খানজাহান আলী রোডে অবস্থিত খাদিজা নার্সিং হোম পরিদর্শনের সময় কর্তব্যরত কোন ডাক্তার কে পাওয়া যায় নি। সনদ বিহীন দুইজন নার্স, একজন ওয়ার্ড বয়’র তত্ত্বাবধানে ৭ জন রোগী নার্সিং হোমে ভর্তি ছিলেন। এর মধ্যে অপারেশনের রোগীও ছিলেন। রিসেপশনিস্ট পরিচয়দানকারী শামীমা, কর্তব্যরত নার্স ও ওয়ার্ড বয়ের কাছে কোন ডাক্তার উপস্থিত নেই কেন জানতে চাইলে তারা জানান, ডাক্তার সাহেব দুপুরের পরে আসবেন। ম্যানেজার ও মালিক খাদিজা বেগম সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা সকলে বলেন ‘আমরা এখানে নুতন এসেছি, সবকিছু ম্যানেজার কাদের সাহেব বলতে পারবেন।’ ম্যানেজারের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে প্রথমে তিনি রিসিভ করেন নি। পরবর্তীতে আবার যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নার্সিং হোমের কিছু প্রয়োজনীয় রেজিষ্ট্রার খাতা জব্দ করেন এবং অপারেশান থিয়েটার সিলগালা সহ নিয়মিত মামলা দায়ের করে খাদিজা নার্সিং হোম বন্ধকরে দেন। বেলা ১২ টায় সেন্টমার্টিন প্যাথলজি এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শনের সময় প্যাথলজি পরীক্ষার উপকরণ (রি-এজেণ্ট)’র উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ লিপিবদ্ধ না থাকায় নির্বাহী ম্যাজেষ্টেট আহমেদ জিয়াউর রহমান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৭,৫১ ও ৫৩ ধারায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
অন্যদিকে, পণ্যে উৎপাদন তারিখ লিপিবদ্ধ না থাকায়, খুচরা মূল্য লেখা না থাকায়, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায়, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি করায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭,৩৮,৪৩,৪৬ ও ৫১ ধারায় টিবি ক্রস রোডের মক্কা ষ্টোর কে ১০ হাজার টাকা ও শারমীন ষ্টোর কে ৫ হাজার টাকা এবং নোংরা পরিবেশে পণ্য রাখার দায়ে খানজাহান আলী সড়কের পিজা বাজার কে ১০ হাজার টাকা সহ ৩ টি প্রতিষ্ঠান কে সর্বমোট ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং এই অর্থ তাৎক্ষণিক ভাবে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান সমূহের নিকট থেকে আদায় করা হয়। অভিযানকালে সকল কে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুসারে ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্যাবলী হতে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হয় ও লিফলেট বিতরণ করা হয়।
সমগ্র অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সৈয়দ রবিউলআলম। এ সময় তার সাথে ছিলেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মামুনুল হাসান ও শিকদার শাহীনুর আলম, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আহমেদ জিয়াউর রহমান এবং জেলা প্রশাসন, কনজুমার এসোসিয়েশন অববাংলাদেশ (ক্যাব) ও পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিবৃন্দ।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ