আজ বিকাল পাঁচটায় নৌ-মন্ত্রী শাজাহান খান খুলনা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এ সময় মন্ত্রী বলেন, সুন্দরবনে ডুবে যাওয়া জাহাজ থেকে সুন্দরবনের নদী-খালে ছড়িয়ে পড়া ফার্নেস অয়েল সুন্দরবনের মারাত্মক কোন ক্ষতি করবে না।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে গ্রামবাসি ও স্বেচ্ছাসেবিরা ছয় হাজার লিটার ভাসমান তেল নদী-খাল থেকে সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়েছে যা চলবে। আগামী ৪/৫ দিনের মধ্যে ভাসমান তেলের ক্ষতিকর কার্যক্ষমতা কমে যাবে। আগামী কাল দুপুর ১২টায় এ বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রনালয়ের সভা হবে, সভায় পরবর্তী পরিকল্পনা বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
তিনি বলেন, ডুবে যাওয়া জাহাজের ছয়টি চেম্বারে তিন লাখ ৫৭ হাজার লিটার ফার্নেস অয়েল ছিলো যার চারটি চেম্বারের তেল সম্পূর্ণ ভেসে গেছে। এই ভাসমান তেল নিয়ন্ত্রনের জন্য ডিজাষ্টার ম্যানেজমেন্ট জাহাজ কান্ডারী ১০ হাজার লিটার কেমিক্যাল নিয়ে ঘটনা স্থলে পৌঁছলেও পরিবেশ বিশেসজ্ঞদের পরামর্শের ফলে ভাসমান তেল নিয়ন্ত্রনে আনিত কেমিক্যাল প্রয়োগ করা সম্ভব হয় নি।
সুন্দরবনের মত স্পর্শকাতর বনের মধ্যদিয়ে জাহাজ চলাচলের বিষয়ে তিনি বলেন, আগে এ সকল জাহাজ মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল দিয়ে চলাচল করতো। খননের অভাবে ঘষিয়াখালী চ্যানেল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিকল্প কোন পথ না থাকায় বাধ্য হয়ে সুন্দরবনের নদী ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়। বর্তমানে সাময়িকভাবে এই রুট বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে ঘষিয়াখালী চ্যানেল খননের কাজ শুরু হয়েছে এবং ৩০ কিলোমিটার খনন এলাকার মধ্যে ২০ কিলোমিটার খনন সম্পন্ন হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘষিয়াখালী চ্যানেল চালু করার প্রচেষ্টা চলছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভাসমান তেল নিয়ন্ত্রনে সরকারের কোন গাফিলতি ছিল না, তবে ব্যবস্থাপনার ঘাটতির জন্য সমন্বয়ের অভাব ঘটেছে। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুর্ঘটনার জন্য অভিযুক্ত জাহাজ এম টি টোটাল কে আটক করা হয়েছে। তদন্ত শেষে দষী সাব্যস্ত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ