ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে আজ খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা, খালিশপুর ও আড়ংঘাটা এলাকার আট টি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ৩১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ রাখা ও ফ্রি ঔষধ স্যাম্পেল বিক্রয় করার দায়ে বয়রা মেইন রোড এলাকার শান্তি ফার্মেসীকে তিন হাজার টাকা, পণ্যে উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, মূল্য তালিকা না থাকার দায়ে বয়রা ক্রস রোড এলাকার বিসমিল্লাহ ডিপার্টমেন্টাল স্টোরকে এক হাজার টাকা, পণ্যে উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ না থাকা এবং বিক্রয় করার দায়ে করিম নগর বয়রা এলাকর সাইমা স্টোরকে এক হাজার টাকা, কারখানায় শ্রমিকদের পোশাক পরিধান না করা, পণ্যে উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ না থাকা নোংরা পরিবেশে বিভিন্ন প্রকার ক্ষতিকারক রং ও ফ্লেভার মিশিয়ে বেকারী খাদ্যসামগ্রী তৈরী করার দায়ে দৌলতপুর হোসেন বেকারীকে ২০ হাজার টাকা, পণ্যে উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ না থাকা এবং বিক্রয় করার দায়ে আড়ংঘাটা বাজার এলাকার নাসির স্টোরকে এক হাজার ৫শ’ টাকা, একই এলাকায় পণ্যে উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ না থাকা এবং বিক্রয় করার দায়ে মাহামুদ এন্টারপ্রাইজকে এক হাজার ৫শ’ টাকা, বেকারী পণ্যে উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বিক্রয় মূল্য ও মূল্য তালিকা না থাকার দায়ে আল্লাহরদান বেকারীকে দুই হাজার টাকা, নোংরা পরিবেশে পণ্য উৎপাদন, পুরাতন মিষ্টির রস ও বাসি মিষ্টি রাখার দায়ে জয় মিষ্টান্নকে এক হাজার ৫শ’ টাকা সহ মোট আট টি প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭,৩৮,৪৩,৪৬ ও ৫১ ধারায় মোট ৩১ হাজার ৫শ’ টাকা জরিমানা করা হয়।
এই অর্থ তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান সমূহের নিকট থেকে আদায় করা হয়। অভিযানকালে সকলকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুসারে ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্যাবলী হতে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হয় ও লিফলেট বিতরণ করা হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধিন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর,খুলনা বিভাগীয় কার্যালয় পরিচালিত এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মামুনুল হাসান। অভিযান পরিচালনাকালে আরও উপস্থিত ছিলেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শিকদার শাহীনুর আলম, কজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)’র সদস্য বিপ্লব চক্রবর্তী ও মনোজ দাস এবং পুলিশ প্রশাসনের প্রতিনিধিবৃন্দ।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ