ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে গতকাল খুলনা মহানগরীর শেখপাড়া, শামসুর রহমান রোড, সাতস্তারমোড়, টুটপাড়া ও নিরালা এলাকার ছয় টি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ২৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
কারখানায় শ্রমিকদের পোশাক পরিধান না করা, পণ্যে উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ না থাকা নোংরা পরিবেশে বিভিন্ন প্রকার ক্ষতিকারক রং ও ফ্লেভার মিশিয়ে বেকারী খাদ্যসামগ্রী তৈরী করার দায়ে শেখপাড়া ইকবাল বেকারীকে ৩ হাজার টাকা, উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, মূল্য তালিকা না থাকা ও বিভিন্ন প্রকার মেদয়া উত্তীর্ণ পানের মসলা দিয়ে পান বিক্রি করার দায়ে সাতরাস্তা মোড় এলাকার দেলোয়ার স্টোরকে ৫ হাজার টাকা, ক্যাশমেমো না দিয়ে মৌখিক ভাবে গ্যারান্টি দিয়ে স্যান্ডেল ও জুতো বিক্রি করার দায়ে সামসুর রহমান রোডের মনের চয়েজ সুজকে ৩ হাজার টাকা, পণ্যে উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, মূল্য তালিকা না থাকা ও মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি করার দায়ে টুটপাড়া লোহার গেট এলাকার আলম ব্রদার্সকে ৩ হাজার টাকা, পণ্যে উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, মূল্য তালিকা না থাকা ও মেয়াদ উত্তীর্ণ আইসক্রীম পণ্য বিক্রি করার দায়ে নিরালা মোড় এলাকার সীমা স্টোরকে ৫ হাজার টাকা, একই এলাকার লোটাস স্টোরকে পণ্যে উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, মূল্য তালিকা না থাকা ও মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য ও আইসক্রীম বিক্রি করার দায়ে ৫ হাজার টাকা সহ মোট ৬ টি প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭,৩৮,৪৩,৪৬ ও ৫১ ধারায় মোট ২৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এই অর্থ তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান সমূহের নিকট থেকে আদায় করা হয়। অভিযানকালে সকলকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুসারে ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্যাবলী হতে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হয় ও লিফলেট বিতরণ করা হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধিন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, খুলনা জেলা কার্যালয় পরিচালিত এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শিকদার শাহীনুর আলম। অভিযান পরিচালনাকালে আরও উপস্থিত ছিলেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মামুনুল হাসান, কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)’র সদস্য সাইদুর রহমান ও মনোজ দাস এবং মহানগর পুলিশ প্রশাসনের প্রতিনিধিবৃন্দ।








সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ