ভ্রাম্যমান বাজার অভিযানে আজ খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার সেনের বাজার ও পালের হাট এলাকার ১১টি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ৪৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মূল্য তালিকা না থাকা ও নোংরা পরিবেশে মিষ্টি সামগ্রী তৈরী করার দায়ে সেনের বাজার এলাকার সাতক্ষীরা ঘোষ ডেয়ারীকে ৩৮ ধারায় দুই হাজার টাকা, আদি সাতক্ষীরা ঘোষ ডেয়ারীকে মূল্য তালিকা না থাকা ও নোংরা পরিবেশে মিষ্টি সামগ্রী তৈরী করার দায়ে দুই হাজার টাকা, নিউ দেশ বন্ধু সাতক্ষীরা ঘোষ ডেয়ারীকে মূল্য তালিকা না থাকা ও নোংরা পরিবেশে মিষ্টি সামগ্রী তৈরী করার দায়ে তিন হাজার টাকা, মূল্য তালিকা না থাকা, উৎপাদনের তারিখ না থাকা ও মেয়াদউত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি করার দায়ে মেসার্স সঞ্জয় স্টোরকে দুই হাজার টাকা, মূল্য তালিকা না থাকা, উৎপাদনের তারিখ না থাকা ও মেয়াদউত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি করার দায়ে ভাই ভাই স্টোরকে দুই হাজার টাকা, মূল্য তালিকা না থাকা, উৎপাদনের তারিখ না থাকা ও মেয়াদউত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি করার দায়ে মোস্ত্মফা স্টোরকে তিন হাজার টাকা, উৎপাদনের তারিখ না থাকা পণ্য বিক্রি করার দায়ে ধান সিড়ি ফুড প্রডাক্টকে পাঁচ হাজার টাকা, নোংরা পরিবেশে খাদ্য সামগ্রী বিক্রি ও পরিবেশন করার দায়ে হোটেল চাঁদপুরকে পাঁচ হাজার টাকা, নোংরা পরিবেশে খাদ্য সামগ্রী বিক্রি ও পরিবেশন করার দায়ে হোটেল পঞ্চাণনকে পাঁচ হাজার টাকা, এবং মূল্য তালিকা না থাকা ও নোংরা পরিবেশে মিষ্টি সামগ্রী তৈরী করার দায়ে পালের হাট এলাকার ফাষ্ট ফার্ন রেষ্টুরেন্টকে ৪৩ ধারায় পাঁচ হাজার টাকা, শ্যামল গোষ্যামীর মিষ্টির দোকানকে নোংরা পরিবেশে মিষ্টি সামগ্রী তৈরী ও ফ্রিজের মধ্যে মিষ্টি ও মাছ এক সাথে রাখার দায়ে ৪৩ ধারায় ৮ হাজার টাকাসহ মোট ১১ টি প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭,৩৮ ও ৪৩ ধারায় মোট ৪৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এই অর্থ তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান সমূহের নিকট থেকে আদায় করা হয়। অভিযানকালে সকলকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুসারে ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্যাবলী হতে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হয় ও লিফলেট বিতরণ করা হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধিন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর,খুলনা জেলা কার্যালয় পরিচালিত এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শিকদার শাহীনুর আলম। অভিযান পরিচালনাকালে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মামুনুল হাসান, কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)’র সদস্য শরীফুল ইসলাম সেলিম ও মনোজ দাস, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি এবং জেলা পুলিশ প্রশাসনের প্রতিনিধিবৃন্দ।
by
সর্বশেষ মন্তব্যসমূহ